সিলেটের সীমান্তবর্তী উপজেলা কানাইঘাটে নিখোঁজের দুইদিন পর ফারুক আহমদ (৩০) নামের এক ব্যক্তির গলাকাটা লাশ সেপটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরকীয়া প্রেমের জেরে তার স্ত্রী পরকীয়া প্রেমিকের সহায়তায় তাকে গলাকেটে হত্যা করেছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে পুলিশ। পুলিশের ভাষ্য, নিহতের স্ত্রী হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছেন।
নিহত ফারুক উপজেলার লক্ষীপ্রসাদ পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদের বাউরভাগ তৃতীয় খন্ড গ্রামের মৃত মাহমুদ হোসেনের পুত্র। বুধবার (৮ মে) সকালে একই এলাকার গোরকপুর গ্রামের মাসুক উদ্দিনের বাড়ির সেফটিক ট্যাংক থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়।
কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল আহাদ জানান, রোববার রাত থেকে ফারুক আহমদকে পাওয়া যাচ্ছিল না। সম্ভাব্য সব জায়গায় খুজেও তাকে পাওয়া যায়নি। তার স্বজনরা ফারুকের সন্ধান জানতে চাইলে ফারুকের স্ত্রী হোসনা বেগম জানায় তিনি বাড়ি ফেরেননি। এই ঘটনায় ফারুক আহমদের চাচা কানাইঘাট থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। পুলিশ তদন্ত করতে গিয়ে স্ত্রীর কথাবার্তা রহস্যজনক মনে হওয়ায় তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
এর দুই দিন পর ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে স্ত্রী হোসনা বেগম স্বামীকে হত্যা করার কথা স্বীকার করেন। পরে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী পুলিশ পাশ্ববর্তী গ্রামের মাসুক মিয়ার সেপটিক ট্যাংক থেকে ফারুক আহমদের লাশ উদ্ধার করে।
পরে লাশ সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে।