ঘুষ নেওয়া ও দেওয়া সমান অপরাধ। সরকারি কোনো অফিসে কাজ করাতে বা সেবা নিতে গিয়ে, কেউ ঘুষ চাইলে আগে আমাদেরকে তথ্য (দুদক) দিন। আমরা অপরাধীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করব এবং সুষ্ঠুভাবে আপনার সেই কাজটিও সম্পন্ন করে দেওয়ার ব্যবস্থা করব।’
রোববার (৫ মে) দুপুরে রাজশাহী বিভাগীয় পর্যায়ে ‘শ্রেষ্ঠ দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কমিশনার (তদন্ত) এএফএম আমিনুল ইসলাম। রাজশাহী দুর্নীতি দমন কমিশনের উদ্যোগে জেলা শিল্পকলা একাডেমিক মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
দুর্নীতি সংক্রান্ত তথ্য জানাতে দুদক’র ১০৬ নম্বরে কল করার জন্য সকলের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের লোভ এতো বেড়ে গেছে, যে আমরা শিক্ষাগ্রহণের দিকে নজর দিচ্ছি না। প্রতিটি সরকারি প্রতিষ্ঠানে যারা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা রয়েছেন, তাদেরকে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে তদারকি বৃদ্ধি করতে হবে। নতুন প্রজন্মকে সততা ও আদর্শের চর্চা করানোর মধ্য দিয়ে গড়ে তুলতে হবে।
চিকিৎসায় দুর্নীতির বিস্তর উদাহরণ টেনে কমিশনার (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘আমি ২০ থেকে ২৫টি হাসপাতাল পর্যবেক্ষণে গিয়েছি। সেখানে দেখেছি- বাক্সে সরকারি ঔষধ ভর্তি অথচ সিরিয়ালে দাঁড়িয়ে থাকা রোগীদের সেই ঔষধ দেওয়া হচ্ছে না।’
অনুষ্ঠানে রাজশাহী বিভাগীয় পর্যায়ের শ্রেষ্ঠ দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটিকে অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। এতে জেলা পর্যায়ে প্রথম হয় ‘বগুড়া জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি’। উপজেলা পর্যায়ে প্রথম হয়েছে রাজশাহীর গোদাগাড়ী, দ্বিতীয় হয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল, তৃতীয় হয়েছে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলা।
মতবিনিময় সভা শেষে দুদক কমিশনার (তদন্ত) এএফএম আমিনুল ইসলাম সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলোর সদস্যদের মাঝে ক্রেস্ট বিতরণ করেন। রাজশাহী অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মো. আনওয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন রাজশাহী রেঞ্জের উপ-পুলিশ পরিদর্শক একেএম হাফিজ আক্তার, রাজশাহী জেলা প্রশাসক এসএম আব্দুল কাদের।