সরকারিভাবে শুরু হয়েছে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ। এজন্য মাঠে রয়েছে সংশ্লিষ্ট জেলা-উপজেলা প্রশাসন ও সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী।
লন্ডনে সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্রুত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
রোববার (৫ মে) প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে পাঠানে এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী ঘূর্ণিঝড় ফণীর কারণে যারা মারা গেছেন তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করেছেন এবং শোক-সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। প্রশাসনের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদেরও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
জানা গেছে, ফণী আক্রান্ত এলাকাগুলোর উপজেলা ও জেলা প্রশাসন, সরকারের বিভিন্ন বিভাগ, জনপ্রতিনিধি এবং বেসরকারি সংস্থাগুলো এরই মধ্যে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে মাঠে কাজ করছে। সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনীর সদস্যরাও ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পৌঁছে গেছে। ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে সহায়তা করার জন্য বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টারে রোববার উপকূলীয় এলাকায় জরিপ কাজ পরিচলনা করা হচ্ছে।
এদিকে, রোববার সকালে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান ঘূর্ণিঝড় ফণীর আঘাত-পরবর্তী করণীয় বিষয়ে কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে পর্যালোচনা সভা করেন। তিনি কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলোর প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়ার নির্দেশ দেন।
সরকারের দেওয়া দুর্যোগ বিষয়ক স্থায়ী আদেশগুলো অনুসরণ করে সংশ্লিষ্ট সবাই যাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেন তা নিশ্চিত করারও নির্দেশ দেন তিনি।
উল্লেখ্য, শনিবার অনেকটা দুর্বল হয়ে ফণী বাংলাদেশ ভূখণ্ড অতিক্রম করেছে। তারপরও দক্ষিণাঞ্চলের কয়েকটি উপকূলীয় জেলা এবং উত্তরাঞ্চলের বেশ কিছু এলাকার বাড়িঘর, গাছপালা ও ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।