ঘূর্ণিঝড় ফণী মোকাবিলায় প্রস্তুত নগরবাসী। তারা এখন পরিবার-পরিজনদের খোঁজ নিচ্ছেন। ফণী সম্পর্কে সচেতন করার পাশাপাশি স্বজনদের আশ্রয় কেন্দ্রে যাবার পরামর্শও দিচ্ছেন তারা।
রাজধানীর আরামবাগ, কমলাপুর, মগবাজার এলাকার বেশ কিছু মানুষের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। তারা বলছেন, ঢাকায় ফণীর আঘাত কম হবে। খুব বেশি সমস্যা হবে না। তারা বলেন, কাজ-কর্ম শেষ করে প্রস্তুত আছি।
রাজধানী মতিঝিলের এনায়েত উল্লাহ চৌধুরী বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘পত্রিকা-টিভি, মসজিদ এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘূর্ণিঝড় ফণী সম্পর্কে সচেতন করা হচ্ছে। শুনলাম রাতেই বাংলাদেশে হানা দেবে। ঘূর্ণিঝড় ঢাকায় বেশি হবে না।’
তিনি বলেন, ‘আমার গ্রামের বাড়ি বাগেরহাট। ফোনে বাবা-মা, পরিবার পরিজনের খোঁজ খবর নিচ্ছি। তাদের নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার জন্য বলছি।’
মগবাজারের ফোনের দোকানে ফ্লাক্সিলোড করতে আসা প্রবিণ কুমার বার্তাকে বলেন, ‘ফণী আঘাত কেমন হবে, কোথায় গেলে নিরাপদ, এগুলো জানাতে ফোনে টাকা ঢুকাতে এসেছি। স্বজনের খোঁজ খবর নেব।’
এদিকে, সন্ধ্যার পর থেকে মৌচাক, মগবাজার, তেজগাঁও, গুলশানের রাস্তাগুলো ফাঁকা দেখা গেছে। গুড়িগুড়ি বৃষ্টির কারণে রাস্তায় লোকজন কম বের হয়েছে বলেও জানান হকার ও বাসের কন্টাক্টররা।
আবহাওয়া অফিসের সূত্র মতে, রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড় ফণী ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কাছাকাছি অবস্থান করছে। বাংলাদেশ সময় মধ্যরাতে ঘণ্টায় ৮০-১০০ কিলোমিটার বেগে আঘাত হানতে পারে। প্রথমে মংলা এলাকায় আঘাত আনতে পারে বলে জানান পরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ।