আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার প্রস্তুতি উপকূলবাসীর

খুলনা, জাতীয়

মানজারুল ইসলাম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-31 22:00:29

খুলনা: দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে খুলনার উপকূলীয় অঞ্চলে দমকা বাতাস বইতে শুরু করেছে। কালো মেঘে ছেয়ে গেছে খুলনার আকাশ। বাড়তে শুরু করেছে নদীর পানি। আশ্রয় কেন্দ্র‌ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে উপকূলবাসী।

শুক্রবার (৩ মে) সকালে খুলনার উপকূলীয় এলাকা দাকোপ ঘুরে দেখা যায়, স্থানীয় ঝপঝপিয়া নদীতে প্রবল স্র‌োত বইছে। জোরালো হচ্ছে দমকা বাতাস। সম্ভাব্য ক্ষতি এড়াতে উপকূলের মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। দাকোপের নদীতে পানি বাড়ায় গ্রামের মানুষেরা বেড়িবাঁধ ভাঙনের আশঙ্কা করছেন।

দাকোপের বাসিন্দারা জানান, সারারাত আতঙ্কে কাটিয়েছেন তারা। সকাল থেকে দমকা বাতাস বইছে। অমাবশ্যার গোন (সময়) হওয়ায় নদীতে দেড় থেকে দুই ফুট পানি বেড়েছে। ঘূর্ণিঝড় আইলার আগ মুহূর্তে যেমন তীব্র গরম অনুভূত হয়েছিল, তেমনি মনে হচ্ছে। আর অমাবশ্যার গোন হওয়ায় তারা বাঁধ ভাঙন ও বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন।

স্থানীয় বাসিন্দা বিমল কৃষ্ণ পাল বলেন, আমাদের এখানে ঝড় হলেই নদীর পানি বেড়ে গিয়ে বেড়িবাঁধ ভেঙে যায়। এতে লোকালয়‌ে পানি ঢুকে পড়ে। এর আগে সিডর ও আইলায়ও যে অবস্থা হয়েছিল, এবারও তেমনটা হওয়ার আশঙ্কা করছি। আমাদের এখানে পানি ঢুকে গেলে মাসের পর মাস পানি নামে না।

দাকোপের চালনা পৌরসভার মেয়র সনত কুমার বিশ্বাস বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। আমার এখানে সবাইকে সচেতন করতে মাইকিং করা হচ্ছে। ঝড় শুরু হলেই সবাই আশ্রয় কেন্দ্র‌ে যাবে। আমরা তৎপর আছি।

খুলনা আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ আমিরুল আজাদ বলেন, শুক্রবার সকাল ৯টায় খুলনার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩২.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিন্ম ২৮.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া বাতাসের আর্দ্রতা শতকরা ৭০ শতাংশ।

তিনি জানান, শুক্রবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে খুলনায় ১০ থেকে ১৫ মিনিট গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর