চট্টগ্রামে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ হত্যা মামলার আসামি নিহত

চট্টগ্রাম, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চট্টগ্রাম, বার্তা২৪.কম | 2023-08-25 22:04:54

চট্টগ্রামের আলোচিত ছাত্রলীগ নেতা মহিউদ্দিন সোহেল হত্যা মামলার অন্যতম আসামি জাবেদ পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছে। সোমবার (২২ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১২টার দিকে আগ্রাবাদ জাম্বুরী মাঠ সংলগ্ন কৃষি অফিসের পেছনে পুলিশের অভিযানে কথিত ওই বন্দুকযুদ্ধ ঘটে।

এ ঘটনায় ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সদীপ কুমার দাশ গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এছাড়া উপ-পরিদর্শক (এসআই) অর্ণব বড়ুয়া, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মিটু দাশ ও কনস্টেবল আল আমিনও আহত হয়েছেন।

ডবলমুরিং থানার ওসি তদন্ত জহির ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, মহিউদ্দিন সোহেল হত্যা মামলার আসামি জাবেদকে গ্রেফতার করতে গেলে আগ্রাবাদ জাম্বুরী মাঠ সংলগ্ন কৃষি অফিসের পেছনে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এ সময় গুলিবিদ্ধ জাবেদকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থল থেকে কয়েকটি অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে ।

গত ৭ জানুয়ারি পাহাড়তলী বাজারে খুন হন সরকারি কমার্স কলেজের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন সোহেল। চাঁদাবাজির অভিযোগে তাকে গণপিটুনিতে মেরে ফেলা হয়েছে বলে প্রথমে প্রচার করা হয়। তবে লাশ উদ্ধারের পর লাশে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। পরে পরিবারের পক্ষ থেকে দায়ের করা হত্যা মামলায় তা ভিন্ন মোড় নেয়। পুলিশ তদন্ত শুরু করে।

গুলিবিদ্ধ ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সদীপ কুমার দাশ, ছবি: বার্তা২৪

 

আসামিদের জবানবন্দিতে জানা যায়, পাহাড়তলী এলাকার একটি জায়গা দখল করে দোকানপাট গড়ে তোলাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষ সাবের ওসমান গংদের সঙ্গে মহিউদ্দিন সোহেলের বিরোধ তৈরি হয়েছিল। সেই বিরোধ থেকেই প্রতিপক্ষরা মহিউদ্দিন সোহেলের ওপর ক্ষুব্ধ ছিল। এক পর্যায়ে তাকে খুনের পরিকল্পনা করে গোপনে গঠন করা হয় কিলিং স্কোয়াড। মহিউদ্দীন সোহেলকে জাবেদ ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে।

হত্যার পরিকল্পনাকারী হিসেবে ১২ নম্বর সরাইপাড়া ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও পাহাড়তলী বাজার ব্যবসায়ী সমিতির আহবায়ক সাবের আহমেদকে ওই মামলায় করা হয় প্রধান আসামি। আর বাজার সাধারণ সম্পাদক ওসমান খানকে ২ নম্বর আসামি করা হয়েছে।

সোহেলের ছোট ভাই আশেকুর রহমান শিশির বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছিলেন। ওই মামলায় ২৭ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও দেড়শ’ জনকে আসামি করা হয়েছে।

পুলিশ অভিযান চালিয়ে এ পর্যন্ত ১৯ জনকে গ্রেফতার করেছে। এরা হলো- মো. ওসমান খান (৫৫), মো. শাহাদাতৎ খান রাসেল (৩৩), মোহাম্মদ শওকত খান রাজু (৩৫), মো. আজাদ হোসেন (২৯), দিদারুল আলম (৩৫), মো. মামুন (২৩), মো. মাকসুদুর রহমান, মো. নুর নবী তালুকদার (৫৫), আলাউদ্দিন, মোবারক হোসেন (২২), মো. সাহাবুদ্দিন (৩৫), রেদোয়ান ফারুক (৩৯), মো. খাজা খাইরুদ্দিন খান ছোটন (৩০), সিরাজ মাঝি (২৫), মো. রমজান আলী কিরণ (৩০), মো. ইকবাল (২১), মো. লালন (৫০) ও মো. শাকিল খান শামীম (১৯)।

এ সম্পর্কিত আরও খবর