উপজেলা নির্বাচনে পুলিশ-প্রশাসন নিরপেক্ষ ছিল: এইচটি ইমাম

ঢাকা, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-26 16:09:41

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে উপজেলা নির্বাচনে পুলিশ ও প্রশাসন নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করেছেন বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান এইচ টি ইমাম।

রোববার (২১ এপ্রিল) বিকেলে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) জাতীয় সংসদ নির্বাচনের নিজ দলের ব্যয়ের হিসাব জমা দেওয়ার পর সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ দাবি করেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার কাছে এ হিসাব জমা দেওয়া হয়।

এইচ টি ইমাম বলেন, ‘উপজেলা নির্বাচনে আমাদের দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্পষ্ট করে বলে দিয়েছিলেন এবং এই বার্তাটি সবার কাছে চলে গেছে যে, প্রশাসন ও পুলিশ এরা কেউই কোনোরকম কোনো নির্বাচনে প্রভাব তো খাটাবে না। এমনকি তারা একেবারে নিরপেক্ষভাবে পক্ষপাতহীনভাবে নির্বাচন পরিচালনায় সহায়তা করবেন। এই কাজটি তারা করেছেন এবং নির্বাচন কমিশন সে জন্য সন্তুষ্ট।’

অনেক সংসদ সদস্য নৌকার প্রার্থীর বিপক্ষে ভোট চাওয়ায় তাদের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দলীয় প্ল্যাটফর্মে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এখানে দুটি বিষয় আছে, একটি হলো নির্বাচনী আইন ভঙ্গের জন্য। আর দ্বিতীয়টি দলের পক্ষ থেকে একজন নৌকার প্রার্থী হলেও আবার একই সঙ্গে বলে দেওয়া হয়েছিল যে, অন্যরাও নির্বাচন করতে পারেন। এটা কীভাবে নেবেন দলে আলোচনা হয়েছে। দলের অনেকের কাছে হয়তো ব্যাখ্যাও চাওয়া হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক এ উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা আজকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের আয়-ব্যয়ের হিসাব দাখিল করলাম। বাঙালির মুক্তি সংগ্রাম ও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আইনের শাসনে বিশ্বাসী একটি রাজনৈতিক দল। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দেশের সর্বোচ্চ আইন সংবিধানসহ প্রচলিত সকল আইন ও বিধি বিধানের প্রতি সবসময় শ্রদ্ধাশীল। আমরা মনে করি কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়। রাজনৈতিক দলসহ দেশের সকল ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানেরই রাষ্ট্র ও রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষের কাছে জবাবদিহিতা থাকা প্রয়োজন।’

কত টাকা ব্যয়ের হিসাব জমা দেওয়া হয়েছে, জানতে চাইলে এইচটি ইমাম বলেন, ‘এটি এখন নির্বাচন কমিশনের সম্পত্তি। এটা পাবলিক ডকুমেন্ট তাদের কাছ থেকে পেয়ে যাবেন। ইসির ওয়েব সাইটেই পেয়ে যাবেন। নবম ও দশম সংসদ নির্বাচনে আইনী বাধ্যবাধকতা মেনে যথাসময়ে ব্যয়ের বিবরণী জমা দেওয়া হয়েছে। এবারও কমিশনে ব্যয়ের হিসাব দাখিল করা হয়েছে। ২০০৮ থেকে ২০১৪ সালে নির্বাচনী ব্যয় কিছুটা বেড়েছিল। এবার কমেছে।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগ প্রতিনিধি দলের একজন সদস্য বলেন, ‘আমরা ইসিতে শুধু ৩০ ডিসেম্বরের ভোটে দলের ব্যয় বিবরণী জমা দিয়েছি। তাতে ১ কোটি ৫৭ লাখ টাকার ব্যয়ের তথ্য দেখানো হয়েছে।’

সিইসির সঙ্গে নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম ও ইসির যুগ্ম সচিব মো. আবুল কাশেম উপস্থিত ছিলেন।

আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান এইচটি ইমামের সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন- দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট রিয়াজুল কবীর কাওছারসহ ৮ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ব্যয় হয়েছিল ২ কোটি ৫৩ লাখ ৯২ হাজার ৭১২ টাকা। আর নবম সংসদ নির্বাচনে ব্যয় হয়েছিল ৩ কোটি ৬০ লাখ ২৬ হাজার ৯৭৪ টাকা।

এ সম্পর্কিত আরও খবর