দেড় মাস পর বাজারে আসবে রাজশাহীর আম

রাজশাহী, জাতীয়

শাহরিয়ার হাসান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-31 05:05:17

রাজশাহী থেকে: পৌষে কুশি, মাঘে বোল, ফাল্গুনে গুটি, চৈত্রে আঁটি, বৈশাখে কাটিকুটি, জৈষ্ঠ্যে দুধের বাটি। আমের সময়কাল নিয়ে খনার বচনটি বহুল প্রচলিত। আম পরিপক্ক হওয়ার পর থেকেই আমপ্রিয় মানুষদের মাথায় এই বচনটি ঘুরতে থাকে। 

সেই সূত্র ধরেই সরেজমিনে রাজশাহীর আম বাগান দেখতে যাওয়া। দেখা যায়, আমের গুটি (কোড়ালী) বড় হতে শুরু করেছে। এখন শুধু পরিপক্ব হতেই যা সময়। সময় যত এগিয়ে যাচ্ছে, আম চাষিদের মুখে হাসি ফুটতে শুরু করেছে। তারা প্রস্তুতি নিচ্ছেন আম বিক্রির।

শনিবার (২০ এপ্রিল) রাজশাহীর কাটাখালী ও বানেশ্বরের একাধিক আম বাগান ঘুরে চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অধিকাংশ বাগানের আম ৪৫ থেকে ৫০ দিনের মধ্যে বাজারে আসতে শুরু করবে। আবার জাত ভেদে সময় নিয়েও আসবে।

বাগান মালিক ও চাষিরা বলছেন, এবার আবহাওয়া আম বাগানের উপযোগী হওয়ায় লাভের মুখ দেখবেন বলে এখনো পর্যন্ত আশা করছেন তারা।

ভর দুপুরে আম বাগান ঘুরে দেখা যায়, আমের গুটি থেকে আমের ভেতরে আঁটি শক্ত হতে শুরু করেছে। যেহেতু আবহাওয়া উপযোগী তাই বাম্পার ফলনের আশায় আম বাগানে দিন রাত শ্রম দিচ্ছেন বাগান মালিক ও চাষিরা। 

কাটাখালীতে রাজশাহী-নাটোর রোডের বাম পাশে এক সাথে ১০ বিঘা জমিতে আম বাগান করেছেন শাহেদ আহমেদ।

কত দিনের মধ্যে আম বাজারে আসতে পারে- এ বিষয়ে তিনি বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘আমরাও বাজারে আম উঠানো নিয়ে অধীর আগ্রহে আছি। আমের পরিপক্কতা দেখে কৃষিবিদরা আমাদের জানিয়েছেন গোবিন্দভোগ আর গোপালভোগ ৪৫ থেকে ৫০ দিনের মধ্যে বাজারে উঠানো যাবে। বাকিগুলো সপ্তাহ দুয়েক বেশি সময় লাগবে।’

অন্যদিকে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্যমতে, রাজশাহী জেলায় ১৭ হাজার হেক্টর জমিতে আম চাষ হচ্ছে। যাতে প্রায় তিন  হাজার ৫০০ বাগান রয়েছে। শুধু বাঘায় আট হাজার ৩৬৮ হেক্টর আম বাগান আছে। এসব আম বাগানে দেড় শতাধিক জাতের আম গাছ রয়েছে। 

রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডাঃ আলিম উদ্দিন বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘রোগবালাই ছাড়াই এখনো পর্যন্ত বাগানে আম বড় হচ্ছে। সাধারণত গুটিতে ছত্রাক জনিত রোগ দেখা যায়। তুলনামূলক এবার সেটিও কম হয়েছে। আশা করা যায়, আম চাষিরা ও বাগান মালিকেরা ভালো আম পাবেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এখনো প্রচলিত উপায়ে আম বাগান করে থাকি। যদি এটা বৈজ্ঞানিক উপায়ে চাষ করা যেত, তাহলে আমের উৎপাদন যেমন বাড়তো, খরচ আরও কমতো।’

এ সম্পর্কিত আরও খবর