ভারতে তথ্য পাচারের দায়ে যুবকের কারাদণ্ড

রাজশাহী, জাতীয়

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেট, রাজশাহী, বার্তা২৪.কম | 2023-08-30 06:43:29

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) অবস্থান ও অন্যান্য তথ্য ভারতের গোয়েন্দা কর্মকর্তার কাছে পাচারের দায়ে রাজশাহীতে এক যুবককে দুই বছরের কারাদণ্ড প্রদান করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

রোববার (৩১ মার্চ) দুপুরে রাজশাহী জেলা প্রশাসন চত্বরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক তাকে এই দণ্ড দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত মো. মিঠুন হোসেন (২৩) রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার চর আষাড়িয়াদহের কানাপাড়া গ্রামের মো. দুলাল হোসেনের ছেলে।

বিজিবি রাজশাহী-১ এর অধিনায়ক কর্নেল মো. তাজুল ইসলাম জানান, শনিবার (৩০ মার্চ) সকালে উপজেলার চর আষাড়িয়াদহ ইউনিয়নের সাহেবনগর এলাকা থেকে মিঠুন হোসেনকে আটক করা হয়। এই সময় তার কাছ থেকে ২০ বোতল ফেনসিডিল, দুই কেজি গাঁজা ও ১০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে তাকে ব্যাটালিয়ন সদরে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে মিঠুন জানান, প্রায় তিন মাস আগে ফেসবুকে তার সঙ্গে ভারতীয় একজন গোয়েন্দা কর্মকর্তার পরিচয় হয়। পরে ঐ কর্মকর্তা মিঠুনকে অর্থ ও সীমান্তে পণ্য পাচারের বিশেষ সুযোগ করে দেবেন- এই মর্মে কিছু তথ্য চান।

শর্তসাপেক্ষে বাংলাদেশ সীমান্তের অভ্যন্তরের তথ্য দিতে রাজি হন মিঠুন।

গত দুই মাস ধরে মিঠুন গোদাগাড়ীর চরাঞ্চলের বিভিন্ন সীমান্ত এলাকায় বিজিবি ক্যাম্প ও বাংলাদেশিদের বসতবাড়িসহ বিভিন্ন স্থাপনার ছবি তুলে তা ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার একজন সদস্যের কাছে পাঠিয়েছেন। একই সঙ্গে ঐসকল তথ্য ভারতে বসবাসকারী তার মামাতো ভাই মো. মহিদুল ইসলামের কাছেও ইমোতে পাঠান মিঠুন। যার সত্যতা পাওয়া গেছে তার কাছ থেকে জব্দকৃত মোবাইল ফোনে।

পরে আটককৃত মিঠুনের বিরুদ্ধে তথ্য পাচার ও মাদক আইনে মামলা দায়ের করা হয়। ঐ মামলায় তাকে রাজশাহী ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে তৎক্ষণিক দুই বছরের কারাদণ্ড প্রদান করেন।

এদিকে, মিঠুনকে গ্রেফতার অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া গোদাগাড়ীর সাহেবনগর সীমান্ত ফাঁড়ির কমান্ডার নায়েক সুবেদার শফিকুল ইসলাম শফিক জানান, সীমান্তের এপারে বাংলাদেশি লোকজন মাঠে কাজ করছিলেন। ঐ সময় সীমান্তের ওপার থেকে কয়েকটি গবাদিপশু নিয়ে এপারে আসছিলেন কয়েকজন রাখাল। মিঠুন ঐসব লোকজনের ছবি তুলে বিএসএফ-এর গোয়েন্দা সংস্থার একজন কর্মকর্তার কাছে ম্যাসেঞ্জারের মাধ্যমে পাঠাচ্ছিলেন।

বিষয়টি জানতে পেরে স্থানীয়রা গোপনে বিজিবিকে খবর দেন। এরপর তাকে আটক করে ফাঁড়িতে নেওয়া হয়।

তিনি জানান, মিঠুনকে আটকের সময় তার কাছে থাকা দুটি মোবাইল ফোনে ভারতীয় সিমকার্ড সক্রিয় ছিল। আটকের পর মিঠুনের মোবাইল ফোনটি সক্রিয় থাকার সময় বিএসএফের একজন গোয়েন্দা কর্মকর্তার ফোনও আসে। পরে ফোন ও ভারতীয় সিমকার্ড জব্দ করা হয়।

এ সম্পর্কিত আরও খবর