রাজধানীর গুলশানে হোলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার সময় ‘আল্লাহু আকবার’ বলে বোমা ও গুলিবর্ষণ শুরু করে সন্ত্রাসীরা। ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দেওয়ার সময় এ কথা বলেন গুলশান থানার ওসি সালাউদ্দিন মিয়া।
বুধবার (২৭ মার্চ) গুলশানের হোলি আর্টিজান মামলায় সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্রুনাল মজিবুর রহমানের আদালতে সাক্ষ্য দেন তিনি।
তিনি বলেন, ২০১৬ সালের ১ জুলাই গুলশান হোলি আর্টিজান বেকারিতে গোলাগুলির শব্দ শুনতে পাই। ঘটনাস্থলে এসে এসআই ফারুকসহ অনেক পুলিশ সদস্যকে দেখতে পাই। এক পর্যায়ে সন্ত্রাসীরা ‘আল্লাহু আকবার’ ধ্বনি দিয়ে গুলি ও বোমা নিক্ষেপ শুরু করে। ওই সময় গুলশান ও বনানী থানার ওসিসহ ৩০/৩৫ জন গুরুতর আহত হন।
এরপর আসামিপক্ষের আইনজীবী ফারুক আহমেদ ওসি সালাউদ্দিনকে জেরা করেন। জেরা শেষে আদালত পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামী ৩ এপ্রিল দিন ঠিক করেন।
এ মামলায় এখন পর্যন্ত ২৬ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।
২০১৬ সালের ১ জুলাই গুলশানের হোলি আর্টিজান বেকারিতে (স্প্যানিশ রেস্তোরাঁ) হামলা চালানো হয়। এতে ১৭ বিদেশিসহ ২০ জনকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে জঙ্গিরা।
এর আগে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে তাদের ওপর গ্রেনেড হামলা চালায় জঙ্গিরা। গ্রেনেড হামলায় ডিবি পুলিশের সহকারী কমিশনার (এসি) রবিউল ইসলাম ও বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাউদ্দিন আহমেদ নিহত হন।
পরদিন সকালে যৌথ বাহিনী কমান্ডো অভিযান চালায়। এতে ছয় হামলাকারী নিহত হয়।
২০১৬ সালের ৪ জুলাই নিহত পাঁচ জঙ্গিসহ অজ্ঞাতদের আসামি করে গুলশান থানায় সন্ত্রাস দমন আইনে মামলা দায়ের করা হয়।
ঘটনায় জড়িত ২১ জনকে চিহ্নিত করে জীবিত আটজনের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের ২৩ জুলাই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউন্টার টেররিজম বিভাগের পরিদর্শক হুমায়ূন কবির ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলার চার্জশিট দাখিল করেন।
মামলায় করাগারে থাকা ছয় আসামি হলো- রাজীব গান্ধী, মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান, রাকিবুল হাসান রিগ্যান, হাতকাটা সোহেল মাহফুজ, হাদিসুর রহমান সাগর, রাশেদ ইসলাম ওরফে আবু জাররা ওরফে র্যাশ ও মামুনুর রশীদ।
আসামি শরিফুল ইসলাম পলাতক আছেন।