বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ প্রফেশনালসের (বিইউপি) শিক্ষার্থী আবরার আহমেদ চৌধুরী হত্যা মামলার ঘটনায় সুপ্রভাত পরিবহনের বাস চালক ও হেলপারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের গোয়েন্দা (ডিবি) উত্তর বিভাগের একটি টিম। পাশাপাশি ঘটনার রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ।
বুধবার (২৭ মার্চ) ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করেন এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ও ডিবি'র প্রধান আব্দুল বাতেন।
তিনি বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ডিবি উত্তর ক্যান্টনমেন্টে একটি টিম, চাঁদপুরের একটি ইটভাটা থেকে অভিযুক্ত বাস চালক ইয়াসিন আরাফাত ও হেলপার মো. ইব্রাহিমকে রাজধানীর মধ্য বাড্ডা থেকে গ্রেফতার করে।
সড়ক দুর্ঘটনায় আরবার নিহত হওয়ার রহস্য উদঘাটন প্রসঙ্গে পুলিশের এই অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, গত ১৯ মার্চ সুপ্রভাত পরিবহনের (ঢাকা মেট্রো-ব- ১১- ৪১৩৫) বাসটি বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালিয়ে ওই শিক্ষার্থীকে চাপা দেয়। ঘটনাস্থলে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। ওই ঘটনায় গুলশান থানায় মামলা হয়, পরে বাসের প্রধান চালক সিরাজুল ইসলামকে আটক করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
আব্দুল বাতেন বলেন, তাকে জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার মূল রহস্য জানা যায়। জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার সিরাজুল জানায়, ভিক্টোরিয়া পার্ক থেকে ছেড়ে আসা সুপ্রভাত বাসটি শাহজাদপুর বাঁশতলা অতিক্রম করার সময় মিরপুর আইডিয়াল গার্লস কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী সিনথিয়া সুলতানা মুক্তাকে চাপা দেয়। এতে গুরুতর জখম হয় মুক্তা।
ওই ঘটনায় যাত্রীরা প্রধান চালক সিরাজুলকে আটক করে ট্রাফিক পুলিশকে হস্তান্তর করে। পরবর্তীতে জনতা বাসে ক্ষতিসাধন করতে পারে, এমন আশঙ্কায় ইয়াসিন আরাফাত (হেলপার) মালিকের নির্দেশে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে বাস নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় ওই গাড়ির নিচে চাপা পড়ে আরবার।
প্রাথমিকভাবে প্রধান বাস চালক সিরাজুল দুর্ঘটনার কথা স্বীকার করায় পুলিশ ধারণা করেছিল সেই আরবারকে হত্যা করেছে। সে কারণে পুলিশ তাকে মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে রিমান্ডে নেয়।
পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, যত দ্রুত সম্ভব এই মামলার চার্জশিট প্রদান করা হবে। সেটি দুই সপ্তাহের মধ্যেই হবে। তাছাড়া এই ঘটনায় বাসের মালিক ও ডিবির নজরদারিতে রয়েছে।