ধর্ষণের টার্গেটে যাত্রীকে অপহরণ করে ড্রাইভার-হেলপার

ঢাকা, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, ঢাকা, বার্তা২৪.কম | 2023-08-31 14:47:39

প্রথমে যাত্রীদের অপহরণ, এরপর ধর্ষণের চেষ্টা, তারপর যা আছে তা ছিনিয়ে নিয়ে বাস থেকে ফেলে দিত আশুলিয়া রোডে চলাচলকারী ক্লাসিক বাসের ড্রাইভার- সুপারভাইজার ও হেলপার।

রোববার (২৪ মার্চ) রাজধানীর আব্দুল্লাহপুর হতে আটক ৩ অপহরণকারী সম্পর্কে এসব তথ্য জানান র‍্যাব-১ অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারোয়ার বিন কাশেম।

সারোয়ার বিন কাশেম জানান, গতকাল একটি দল রাজধানীর আব্দুল্লাহপুর বাসস্ট্যান্ডের কাছে নির্জন জায়গায় অপহরণের চেষ্টাকালে ৩ জনকে হাতেনাতে আটক করা হয়। এ সময় ২০ বছরের এক তরুণীকেও উদ্ধার করতে সক্ষম হই।

এ ঘটনায় আসামি খলিল মিয়া ড্রাইভার, সুপারভাইজার মেহেদী হাসান বাবু, হেলপার রাকিবকে আটক করা হয়।

ঘটনা সম্পর্কে র‍্যাবের এ অধিনায়ক বলেন, ক্লাসিক নামক পরিবহনের হেলপার, ভিকটিম নারীকে নবীনগর নেমে দেবার কথা বলে বাসে উঠান। নওগাঁ থেকে দু মাস আগে ঢাকায় আসা ভিকটিম রাস্তাঘাট চেনা না থাকায় তাদের কথামতো বাসে ওঠেন।

তারা কৌশলে ভিকটিমকে আব্দুল্লাপুরের দিকে নিয়ে আসে। আবদুল্লাহপুরে এসে সামনে আর যাবে না বলে সব যাত্রীকে নামিয়ে দেয়। অন্য যাত্রীদের সঙ্গে বাস থেকে নেমে যায় ভিকটিম। এলাকায় অপরিচিত হওয়ায় কিছুদূর গিয়ে দাঁড়িয়ে যায় সে। পরে জোরপূর্বক তাকে বাসে তুলে ধর্ষণের চেষ্টা করে।

এ সময়, ওত পেতে থাকা র‍্যাব গোয়েন্দারা তাদেরকে হাতেনাতে আটক করে।

সারোয়ার বিন কাশেম বলেন, 'প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, তাদের মাধ্যমে ইতিপূর্বেও অনেক নারী যাত্রী যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে। গ্রাম থেকে আসা কম বয়সী নারীদের বাসে তোলার পর কৌশলে অন্য যাত্রীদের নামিয়ে নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। তারপর ভিডিও চিত্র ধারণ করে সেগুলো ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দেয়।'

তিনি আরও বলেন, 'এ ক্ষেত্রে অধিকাংশ ভুক্তভোগী লোকলজ্জার ভয়ে বিষয়টি গোপন করে রাখে। ধর্ষণ শেষে ভিকটিমের কাছে থেকে টাকা পয়সা মোবাইল স্বর্ণালঙ্কার ছিনিয়ে নিয়ে বাস থেকে নামিয়ে দেয়।'

অন্যদিকে বাস ও চালকের কোনো কাগজপত্র ড্রাইভিং লাইসেন্স বা রুট পারমিট কিছুই নেই বলে জানিয়েছেন এ র‍্যাব কর্মকর্তা।

এ সম্পর্কিত আরও খবর