দেশে যক্ষ্মারোগীর সংখ্যা ২ লাখ ৬৭ হাজার

ঢাকা, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম | 2023-08-28 02:55:37

বাংলাদেশে বর্তমানে দুই লাখ ৬৭ হাজার ২৭৬ জন যক্ষ্মারোগী আছে বলে জানিয়েছে বেসরকারি সংস্থা ব্রাক। এর মধ্যে শিশু যক্ষ্মারোগীর সংখ্যা ১১ হাজার ৩৫২ জন বলে জানায় সংস্থাটি। 

শনিবার (২৩ মার্চ) সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস ২০১৯’ উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানায় সংগঠনটি।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ডা. শামিউল ইসলাম, ডেমিয়েন ফাউন্ডেশনের কান্ট্রি ডিরেক্টর অং কাই জাই মগ, ব্রাকের কমিউনিকেশন ডিজিজেস কর্মসূচির পরিচালক ড. মোঃ আকরামুল ইসলাম, সহযোগী পরিচালক ডা. মাহফুজা রিফাত, আইসিডিডিআরবি'র প্রতিনিধি ডা. সায়রা বানু প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, ‘বর্তমানে দেশে এমডিআর যক্ষ্মারোগীর সংখ্যা এক হাজার ২৪০ জন। বাংলাদেশে প্রতি বছর লাখে ২২১ জন নতুন করে যক্ষ্মায় আক্রান্ত হন এবং ৩৬ জন মৃত্যুবরণ করেন। তাই এই রোগ নির্মূলে জনসাধারণের সচেতনতার পাশাপাশি অত্যাধুনিক জিন-এক্সপার্ট মেশিনের সংখ্যা ও ব্যবহার বাড়ানো উচিত।’

এক সময় যক্ষ্মাকে নিয়ে যে ভয় ছিল সেই ভয় অনেকটাই কেটে গেছে উল্লেখ করে বক্তারা যক্ষ্মা রোগ নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বেশ কয়েকটি চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন। এগুলো হলো- চিকিৎসার জন্য পর্যাপ্ত হাসপাতাল না থাকা, দক্ষ স্টাফের স্বল্পতা, চরাঞ্চলসহ দুর্গম জায়গায় সহজে চিকিৎসা সেবা দিতে না পারা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ডা. শামিউল ইসলাম বলেন, ‘যক্ষ্মা রোগ নির্মূলে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। সরকার ২০৩৫ সালের মধ্যে যক্ষ্মা রোগের মৃত্যুর হার ৯৫ শতাংশ ও প্রকোপের হার ৯০ শতাংশ কমিয়ে আনতে চায়। এই লক্ষ্যে সরকার জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির সঙ্গে ব্রাকসহ ২৫টি বেসরকারি সংস্থা সমন্বিতভাবে কাজ করছে।’

উল্লেখ্য, যক্ষ্মা বা টিবি একটি বায়ুবাহিত সংক্রামক রোগ। মাইক্রোব্যাকটেরিয়াম টিউবারকুলোসিস নামের একটি জীবাণু এ রোগেত জন্য দায়ী। এ জীবানু মূলত ফুসফুসকে আক্রমণ করে। কফ, হাচি, কাশি ও কথা বলার মাধ্যমে যক্ষ্মার জীবাণু একজন থেকে আরেকজনের শরীরে ছড়ায়।

এ সম্পর্কিত আরও খবর