বঙ্গবন্ধু মানুষ, মানবিকতা, সমাজ ও রাষ্ট্রের স্বার্থে আন্দোলন-সংগ্রামের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও কলাম লেখক আবুল মকসুদ।
তিনি বলেন, জাতির পিতা কিশোর বয়স থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এ আন্দোলন সংগ্রাম করে গেছেন। বঙ্গবন্ধু জীবনের অধিকাংশ সময় ব্যয় করেন বাঙ্গালী জাতির মঙ্গলে আন্দোলন-সংগ্রামে।
সোমবার (১৮ মার্চ) সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আয়োজিত ‘আন্দোলন-সংগ্রামে বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর ভেতরে এমন মানবিকতা ছিল তা ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন। তিনি খাবার আগে তাঁর সঙ্গে যারা থাকতেন তাদের খবর নিতেন। এমন কি গাড়ি চালকদের কে খেয়েছে কে খায়নি সব তদারকি করে তারপর নিজে খেতেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু যদি আন্দোলন-সংগ্রামে না থাকতেন তাহলে এই দেশ কখনোই মুক্তি পেত না। তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতাস্বরূপ বঙ্গবন্ধুর শতবর্ষ পালন করা বাঙালি জাতির অবশ্য কর্তব্য।’
সংবিধান প্রণেতা ও আইনজীবী ব্যারিস্টার এম আমীর উল ইসলাম বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু মানবিকতার বিষয়টি সবচেয়ে বড় করে দেখতেন। মানবিকতার জন্যও তিনি জেল খেটেছেন। মানবিকতার শক্তি দিয়েই তিনি নেতৃত্ব ধরে রেখেছিলেন।’
বঙ্গবন্ধুর মধ্যে সাম্য, মানবিক মর্যাদা এবং সামাজিক ন্যায় বিচার বিদ্যমান ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এই তিনটি গুণ তাঁর মধ্যে ছিল বলেই তিনি রাজনীতিতে বিশাল স্থান পেয়েছিলেন। জনতা তাকে সম্মান করতেন, শ্রদ্ধা জানাতেন এবং সমীহ করতেন।’
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু মানুষকে মানবিকতার দৃষ্টি দিয়ে দেখতেন বলেই তিনি দেশে ও বিদেশে এতো জনপ্রিয় নেতা ছিলেন। মানুষের মন জয় করেই যে কোনো ব্যাপারে সম্মতি দিতেন।’
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ৭০ এর নির্বাচনেও জনগণের মন জয় করে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু জানতেন তাঁর নেতৃত্বের প্রধান উৎস জনগণ। তাই তিনি যে কোন ব্যাপারে সবার সঙ্গে মতবিনিময় করতেন এবং সঠিক সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারতেন।
বাংলাদেশ অনলাইন অ্যাক্টিভেস্ট ফোরাম বোয়াফ আয়োজিত আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, বখতিয়ার উদ্দীন চৌধুরী। বোয়াফ সদস্য তুলি হোসেনের সঞ্চালনায় প্রবন্ধ পাঠ করেন কলাম লেখক জাফর ওয়াজেদ। সভায় সভাপতিত্ব করেন বোয়াফের সভাপতি কবীর চৌধুরী তন্ময়।