রংপুরে কমছে খাল-বিল পুকুর, বাড়ছে মাছের ঘাটতি

রংপুর, জাতীয়

ফরহাদুজ্জামান ফারুক, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, রংপুর, বার্তা২৪.কম | 2023-09-01 04:00:17

রংপুরে দিন দিন কমছে মাছ উৎপাদন, ফলে বাড়ছে ঘাটতি। মূলত নদীর নাব্যতা হ্রাস, খাল-বিল, পুকুর ভরাটসহ নানা কারণে এ জেলায় মাছের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। আগের মতো এখানকার গ্রামগঞ্জে আর দেখা মেলে না ফেরি করে মাছ বিক্রির দৃশ্য। সবুজে শ্যামলে ঘেরা গ্রামের মেঠোপথের দু'পাশের ছোট ছোট খাল, ডোবা কিংবা বাড়ির পুকুরেও নেই মাছ।

মৎস্য চাষিদের দাবি, আগে রাস্তার ধারে ডোবা, খাল-বিল বা পুকুরে মাছ চাষ করা হলেও এখন আর এগুলোর দেখা মেলে না। ফলে চাহিদা অনুযায়ী মাছের উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে না। এমনকি হ্যাচারির মালিকরা মাছ সরবরাহ করতে পারছেন না।

জানা গেছে, রংপুরের আট উপজেলায় মাছের চাহিদা ৬৩ হাজার ৯৫ মেট্রিক টন। অথচ সেখানে উৎপাদন হচ্ছে মাত্র ৪১ হাজার ৭৯৬ মেট্রিক টন। ঘাটতির পরিমাণ ২১ হাজার ২৯৯ মেট্রিক টন। এর মধ্যে রংপুর সিটি এলাকায় ঘাটতি রয়েছে জেলার তিন ভাগের দুই ভাগের বেশি। যার পরিমাণ ১৬ হাজার মেট্রিক টন।

এক সময়কার মাছে ভরা পুকুর, নদী-নালা, খাল-বিলের অধিকাংশই দখল করা হয়েছে বা পলি জমে ভরাট হয়ে যাচ্ছে। আর অল্পকিছু এলাকায় নদী, খাল-বিল ও ডোবা থাকলেও পানি শূন্যতায় মাছ চাষ সম্ভব নয়। ফলে জেলের জালে আগের মতো মাছ ধরা দেয় না। সারাদিন পুকুরপাড়ে সিপ (বর্শি) নিয়ে বসে থাকলেও মাছ পাওয়া যায় না। এমনকি পুকুর ও খালে হাতিয়েও মিলছে না মাছ।

এদিকে রংপুরে মাছের ঘাটতি পূরণে নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে মৎস্য বিভাগ। যার মধ্যে রয়েছে- বিল-নার্সারি কার্যক্রম বাড়ানো, পোনা চাষে উদ্বুদ্ধকরণ, ব্যক্তিগত উদ্যোগে উন্মুক্ত জলাশয়ে পোনা অবমুক্ত কার্যক্রম এবং ধানক্ষেতে মাছ চাষ কার্যক্রম। চলতি বছর এসব কর্মসূচি বাস্তবায়িত হলে জেলার অর্ধেক মাছের ঘাটতি মেটানো সম্ভব হবে বলেও মনে করছে মৎস্য বিভাগ।

রংপুর জেলা মৎস্য অধিদফতরের মৎস্য ককর্মকর্তা বরুণ চন্দ্র বিশ্বাস বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আমাদের কর্মসূচি বাস্তবায়ন হলে চলতি বছরে প্রায় ৭ হাজার ১০৫ মেট্রিক টন মাছ উৎপাদন সম্ভব।’

এ সম্পর্কিত আরও খবর