নারী নির্যাতনের অনেক খবর সরকারের কাছে পৌঁছায় না: আইনমন্ত্রী

ঢাকা, জাতীয়

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-28 09:53:23

সরকার আইনি সহায়তা কার্যক্রম এখন ইউনিয়ন পর্যন্ত নিয়ে গেলেও নারী নির্যাতনের অনেক খবর সরকারের কাছে পৌঁছায় না বলে মন্তব্য করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।

নারীর প্রতি সহিংসতার অভিযোগ পেলে তা সরকারি লিগ্যাল এইড অফিসে পৌঁছানোর জন্য বেসরকারি সংস্থাগুলোকে সহযোগিতার আহবান জানান মন্ত্রী।

শনিবার (২ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে ‘পারিবারিক সহিংসতা প্রতিরোধে সরকারি আইনি সেবার ভূমিকা’ শীর্ষক এক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

আনিসুল হক বলেন, ‘শেখ হাসিনার সরকার নারী ও শিশুদের অধিকার ও সুবিচারপ্রাপ্তি নিশ্চিত করতে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন আইন প্রণয়ন করেছে, যা নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা রোধে কার্যকর ভূমিকা রাখছে। তারপরও নারীরা তাদের ন্যায্য অধিকার বা বিচার পাত্তয়ার ক্ষেত্রে এখনও অনেক ক্ষেত্রে পিছিয়ে আছেন।’

তিনি বলেন, ‘নারীরা শুধু শারীরিকভাবেই সহিংসতার শিকার হচ্ছে না, মানসিকভাবেও সহিংসতার শিকার হচ্ছেন। যদিও মানসিকভাবে সহিংসতার ঘটনাগুলো সেভাবে প্রকাশ পাচ্ছে না। মানসিক সহিংসতার কারণেই পরবর্তীতে আত্মহত্যার মতো ঘটনা ঘটছে।’

‘সরকার ২০১০ সালে পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইন ও ২০১৩ সালে পারিবারিক সহিংসতা প্রতিরোধ বিধিমালা প্রণয়ন করেছে। কিন্তু বাস্তবে এই আইনের প্রয়োগ খুব একটা দেখতে পাচ্ছি না। তার মানে এই আইন সম্পর্কে তারা এখনও পুরোপুরি জানে না। তাই এই আইন সম্পর্কে নারীদের পাশাপশি পুরুষদেরও জানাতে হবে।’

আইনমন্ত্রী বলেন, আইনগত সহায়তা প্রদান আইন ২০০০ কিন্তু অনেকটাই নারী বান্ধব আইন। এই আইনের আওতায় নারীসেবা গ্রহীতার সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। শারীরিক ও মানসিকভাবে সহিংসতার শিকার নারীরা এখন ঘরে বসেই ১৬৪৩০ হেল্প লাইনে ফোন করে সরকারি আইনি সেবা নিচ্ছেন। এ পর্যন্ত এক লাখ ৮৫ হাজার ২৮৬ জন নারী বিনা খরচে সরকারি আইনি সেবা নিয়েছেন।’

তিনি বলেন, ‘নারীরা যদি জানে যে, তার বাবা-মা, শ্বশুর-শাশুড়ি বা সালিশের মাতবর সাহেবরাই শেষ ভরসাস্থল নয়, তাদের ভরসার আরও জায়গা আছে, তাহলে তারা সেখানে (লিগ্যাল এইড অফিসে) যাবে। এ বিষয়ে নারীদের সচেতন ও উদ্বুদ্ধ করতে হবে এবং তাদের অভয় দিতে হবে।‘

জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার ভারপ্রাপ্ত পরিচালক বিকাশ কুমার সাহার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি খোন্দকার মূসা খালেদ, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হক ও মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম বক্তৃতা করেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর