পুরান ঢাকার চুড়িহাট্টায় ওয়াহিদ ম্যানশন ভবনে লাগা ভয়াবহ আগুনে ঘটনাস্থল থেকে ২৬টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ মরদেহের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহমেদ খান।
বুধবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাত ৩টার দিকে ওয়াহিদ ম্যানশন ভবনে লাগা ভয়াবহ আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছে ফায়ার সার্ভিসের ৩৭টি ইউনিট।
রাত সাড়ে ৩টার দিকে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহমেদ খান সাংবাদিকদের জানান, এখন পর্যন্ত ২৬টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। মরদেহগুলো অ্যাম্বুলেন্সযোগে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হচ্ছে।
ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রাথমিকভাবে তারা ধারণা করছেন গাড়ির সিলিন্ডার বিস্ফোরণের মধ্য দিয়ে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরবর্তীতে পাশের ভবনগুলোতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ওই ভবনের দ্বিতীয় তলায় বিপুল পরিমাণ কেমিক্যালের মজুত ছিল। যার কারণে আগুন দ্রুত চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি স্টেশনের ৩৭টি ইউনিটের ২৫০ জন ফায়ার ফাইটার আগুন নেভানোর কাজ করেছে।
এদিকে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটের সহযোগী অধ্যাপক ডা. হোসাইন ইমাম জানান, সুজন (৪০) , মাহমুদ (৫৭), সেলিম (৪৫), আনোয়ার (৫০), মোস্তাফিজ (৪০), জাহিদুল (২৮), রামিম (১২), সালাউদ্দিন (৫০), মোজাফ্ফর হোসেন (৩২), সোহাগ (২৬), সোহান (৩৫), ফজর আলী (২৫), হেলাল (২৫), রেজাউল (২১), জাকির হোসেন (৫০), ইভান (৩০) দগ্ধ অবস্থায় ঢামেকে ভর্তি হয়েছেন।
এছাড়া আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হওয়াদের মধ্যে রয়েছেন- আলামিন, রিমন, সিয়াম, রেজাউল, বাবুল, শহীদ, শহিদুল্লাহ, শামীমুর রহমান, সাইফুল, সালাউদ্দিন, লামিম, আনোয়ার, পলাশ, জাহাঙ্গীর, সালাম, রবিউল, মঞ্জুরুল আলম।
ঢাকা মেডিকেলে উপস্থিত থেকে ফায়ার সার্ভিসের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণের পর সেখান থেকে ২৬টি লাশ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। এখন পর্যন্ত উদ্ধার হওয়া সব কয়টি লাশ ঢামেকে এসেছে।