রাজশাহীতে প্রতরণার অভিযোগে স্যামসাং মোবাইল কোম্পানিতে কর্মরত তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন একজন গ্রাহক।
সোমবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজশাহীর মূখ্য মহানগর হাকিম আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়। পুঠিয়া উপজেলার আনোয়ারুল হকের ছেলে আরিফুল হক রুবেল মামলটি দায়ের করেন।
দণ্ডবিধির ৪০৬, ৪২০ ও ৫০৬ ধারায় দায়েরকৃত মামলাটি আমলে নিয়ে আদালত নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) আগামী ১৮ মার্চের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন।
মামলায় আসামি করা হয়েছে, স্যামসাংয়ের রাজশাহী সার্ভিস সেন্টারের প্রধান মো. শাহ্ জাহান খান, ইনচার্জ/ম্যানেজার (অথরাইজড) মো. সায়েবুর রহমান ও নগরভবন সংলগ্ন স্যামসাং শো-রুমের ডিলার অঞ্জন কুমার ঘোষ।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৭ সালের ২৪ ডিসেম্বর মামলার আসামি অঞ্জন কুমার ঘোষের দোকান থেকে ৩০ হাজার ৯০০ টাকায় ‘স্যামসাং জে-৭ প্রো’ সিলভার মডেলের একটি মোবাইল ফোন কেনেন আরিফুল হক। সে সময় ফোনটিতে এক বছরের রিপ্লেসমেন্ট ওয়ারেন্টি দেওয়া হয়।
ক্রয়ের কিছুদিন পর টাচ (ফোনের স্কিন) সমস্যা দেখা দিলে তিনি নগরীর কাদিরগঞ্জে স্যামসাং কেয়ারে সায়েবুর রহমানকে (দ্বিতীয় আসামি) দেখালে তিনি ফোন রিপ্লেস না করে সার্ভিসিং করে দেন। এরপর আবার মোবাইলে সমস্যা দেখা দিলে বাদীর পক্ষ থেকে মামলার প্রধান আসামি শাহ্ জাহান খানের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি সায়েবুরের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন।
পরে ২০১৮ সালের ১৭ নভেম্বর ফোনে পুনরায় সমস্যা দেখা দিলে তিনি সায়েবুরের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। সে সময় তিনি নানা রকম তালবাহানা করে আবারও সার্ভিসিং করিয়ে দেন। এরপর গত ৯ ফেব্রুয়ারি আবার স্যামসাং সার্ভিসিং সেন্টারে গেলে, তার ফোন ঠিক করে দেওয়ার নামে ১২ হাজার ৭ শো টাকা সার্ভিস চার্জ দাবি করে।
বাদী এ বিষয়ে টাকা না দিয়ে রিপ্লেসমেন্ট ওয়ারেন্টির শর্ত অনুযায়ী ফ্রি সার্ভিস দাবি করলে তার সঙ্গে সায়েবুর রহমান অশালীন আচরণ করেন এবং এ বিষয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করলে তাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেন।
জানতে চাইলে মামলার বাদী আরিফুল হক রুবেল বলেন, ‘ফোনটি কেনার পর আটবার তাদের কাছে গিয়েছি, তারা সেবার নামে হয়রানি করেছে। বিভিন্ন গ্রাহককে এভাবে প্রতিনিয়ত হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। তাই সকল গ্রাহকদের কথা বিবেচনা করে মামলা করেছি। তাছাড়া সায়েবুর হত্যার হুমকি ও ভয়-ভীতি প্রদর্শন করায় ৫০৬ ধারায়ও মামলা করেছি।’