‘আল মাহমুদের মৃত্যুতে আমরা দরিদ্র হয়ে গেলাম’

ঢাকা, জাতীয়

ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-31 11:48:29

কবি আব্দুল হাই শিকদার বলেছেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ার যে আধ্যাত্মিক আত্মা, তার শেষ প্রতিনিধি ছিলেন আল মাহমুদ। তাঁর মৃত্যুতে সত্যিকার অর্থে আমরা দরিদ্র হয়ে গেলাম।'

শনিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বাংলা একাডেমির নজরুল মঞ্চে সর্বস্তরের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য কবি আল মাহমুদের মরদেহ রাখা হয়। এখানে আধাঘণ্টা রাখার পর তাঁর মরদেহ জাতীয় প্রেসক্লাবে নেওয়া হয়।

সোনালি কাবিনের কবি আল মাহমুদকে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে এসে কবি আব্দুল হাই শিকদার বলেন, ‘আল মাহমুদ শুধু ভাষা সৈনিকই ছিলেন না, তিনি ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা। আমাদের হাতে গোনা যে দুই-তিন জন কবি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন, আল মাহমুদ তাদের অন্যতম। কাজেই জাতির ইতিহাসে তাঁর ভূমিকা অত্যন্ত গৌরবোজ্জ্বল।’

কবির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আসেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবিবুল্লাহ সিরাজী। তিনি বলেন, ‘আল মাহমুদের সাথে আমার কৈশোর ও যৌবনের অনেক স্মৃতি রয়েছে। আজ একটি প্রতিষ্ঠানে দাঁড়িয়ে তার প্রধান হিসেবে অনেক কিছুই হয়তো আমি বলতে পারব না, সময়ও নেই। তবে, আল মাহমুদ আমাদের প্রাণের কবি ছিলেন। তাঁর যাবতীয় কর্মকাণ্ডের সঙ্গে বাঙালি জাতি আগামী দিনে জড়িত থাকবে, এটাই আমার প্রত্যাশা।’

কবি হিসেবে আল মাহমুদ যথাযথ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা কি পাচ্ছেন না? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্র জনগণেরই একটি প্রতিষ্ঠান। রাষ্ট্র জনগণের বাইরের কোনো অবকাঠামো নয়৷ জনগণ যখন একজন কবিকে বিবেচনায় নেয়, কবি হিসেবে মানে, তখন ধরে নেবেন, রাষ্ট্রযন্ত্রও তাঁকে মেনে নিয়েছে। রাষ্ট্রকে আলাদা করে দেখবেন না। রাষ্ট্র কিছু নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে চলে। জনগণের সঙ্গে, মানুষের সঙ্গে কাল বিবেচনা করে এবং তারই পরিপ্রেক্ষিতে তাঁর যা অধিকার, যা তাঁর প্রাপ্য তা তিনি পাবেন।’

উল্লেখ্য, শুক্রবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টা ৫ মিনিটে রাজধানীর ধানমন্ডিতে বেসরকারি একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন কবি আল মাহমুদ। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮২ বছর।

এ সম্পর্কিত আরও খবর