ফসল সংগ্রহের পর তা সংরক্ষণে ফ্রান্সের প্রযুক্তিগত সহায়তা চেয়েছে বাংলাদেশ। ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মেরি অ্যানিক বার্দিনের সঙ্গে বৈঠকে এই সহায়তা চান কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
এ সময়, বাংলাদেশে খাদ্য সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাতসহ আধুনিক কৃষি প্রযুক্তিতে ফ্রান্স সহায়তা করতে চায় বলে জানান রাষ্ট্রদূত। এদেশে দুর্যোগ মোকাবেলাসহ বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করে এর বহুবিধ ব্যবহার, সৌর ও বায়ু বিদ্যুতের উন্নয়নেও সহযোগিতা করতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। এছাড়া, প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানো, কৃষিতে গবেষণা ও প্রশিক্ষণ, কৃষি অবকাঠামো উন্নয়ন ও উন্নত বীজ উৎপাদনে কারিগরি সহায়তা দেয়ার আশ্বাস দেন মেরি অ্যানিক বার্দিন।
বুধবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে কৃষিমন্ত্রীর দফতরে তাদের এই বৈঠক হয়। এ সময়, কৃষি নিয়ে গবেষণা, জিএমও, উন্নত হাইব্রিড ফসল নিয়ে দুই দেশের যৌথভাবে কাজ করার বিষয়ে তারা আলোচনা করেন।
বাংলাদেশ পাটের উৎপাদন বৃদ্ধিতে আধুনিক কৌশল আবলম্বন করছে বলে উল্লেখ্য করেন কৃষিমন্ত্রী। তিনি বলেন, দেশের কৃষিবিদ, কৃষি বিজ্ঞানী ও আমাদের কৃষকের অক্লান্ত পরিশ্রম, কৃষি যান্ত্রিকরণ, সর্বোপরি কৃষি ভতুর্কি এবং সরকারের আন্তরিকতায় কৃষিতে সাফল্য অর্জিত হয়েছে। কৃষি আমাদের অর্থনৈতিক গতিশীলতার জন্য অপরিহার্য। যুদ্ধ পরবর্তী ১৯৭১ সালে খাদ্যশস্য উৎপাদন ছিল ১১ মিলিয়ন টন, ২০১৭-১৮ -তে এসে ৪১ দশমিক ৩৩ মিলিয়ন টন হয়েছে। আমাদের কৃষিজমি কমছে আবার উৎপাদনও বাড়ছে। আমাদের শস্যের নিবিড়তা ১৯৫ শতাংশ।
বাংলাদেশ কৃষি রফতানিকারক দেশ হতে চায় বলেও জানান ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
২০১৮ সালে বাংলাদেশ থেকে চামড়ার জুতাসহ অন্যান্য প্রায় ৪০০ মিলিয়ন ইউরোর পণ্য আমাদানি করেছে ফ্রান্স। বাংলাদেশের সাথে বাণিজ্য সম্পর্ক উন্নয়নে ফ্রান্স আগ্রহী বলে জানান রাষ্ট্রদূত মেরি অ্যানিক বার্দিন।