বাংলাদেশ সফররত জাপানের বিশেষ দূত ইওহেই সাসাকাওয়া বলেছেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া অবশ্যই বেগবান করতে হবে। মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেছে জাপান।
সোমবার (১১ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সঙ্গে সাক্ষাতকালে এসব কথা বলেন নিপ্পন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) কুষ্ঠ নির্মূল বিষয়ক শুভেচ্ছা দূত ও মিয়ানমারে জাতীয় মীমাংসা বিষয়ক জাপান সরকারের বিশেষ দূত ইওহেই সাসাকাওয়া।
তিনি বলেন, ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে আশ্রয় দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদারতার পরিচয় দিয়ে মানবতার যে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন, তা আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত হয়েছে। রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের প্রতি জাপানের অব্যাহত সমর্থন আছে।
তিনি জানান, কুষ্ঠ রোগ নির্মূলে বাংলাদেশের সাথে যৌথভাবে কাজ করবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। এ লক্ষ্যে আগামী সেপ্টেম্বর বা অক্টোবরে ঢাকায় একটি আন্তর্জাতিক কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হবে।
এ প্রসঙ্গে জাপানের বিশেষ দূত বলেন, এ ধরনের রোগ বর্তমানে বাংলাদেশে সহজে নিরাময়যোগ্য। কুষ্ঠ নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশের সাফল্য প্রসংশনীয়। কনফারেন্স আয়োজনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্মতি রয়েছে।
কনফারেন্সের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে, সব ধরনের সমর্থন অব্যাহত রাখার আশ্বাস দেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। বলেন, বর্তমান সরকার ১৯৯৬ সাল থেকে কুষ্ঠ রোগ নির্মূলে কাজ করছে। কুষ্ঠ রোগ নির্মূলে জনসচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দিতে বাংলাদেশ সরকার কাজ করছে।
সাক্ষাৎকালে তাঁরা বাংলাদেশ ও জাপানের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়েও আলোচনা করেন।
স্পিকার বলেন, জাপানের সাথে বাংলাদেশের বন্ধুত্বের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা লাভের পর জাপানের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তোলেন। পথ পরিক্রমায় এ সম্পর্ক আজ অত্যন্ত সুদৃঢ়। ভবিষ্যতে এ সম্পর্ক আরও জোরদার হবে।
বাংলাদেশে ডব্লিউএইচওর আবাসিক প্রতিনিধি ও বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত হিরোইয়াসু ইজুমি এ সময় উপস্থিত ছিলেন।