হুমকি দিয়ে কেউ পার পাবে না: ভূমিমন্ত্রী

চট্টগ্রাম, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চট্টগ্রাম, বার্তা২৪.কম | 2023-08-20 10:57:19

কর্ণফুলী পাড়ের অবৈধ উচ্ছেদ অভিযানে হুমকি দিলে কাজের গতি আরও বাড়নো হবে বলে জানিয়েছেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জমান চৌধুরী জাবেদ।

তিনি বলেছেন, ‘এগুলো আমলে নেওয়ার মতো কিছু না। কাকে, কে হুমকি দিচ্ছে। সেই বাংলাদেশ আর নাই। আমাদের ইন্টালিজেন্স অনেক স্ট্রং। কেউ হুমকি দিয়ে পার পাবে না।’

সপ্তাহের ব্যবধানে শনিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সোয়া ৪টায় মাঝিরঘাট লোহারগেইট এলাকায় পরিদর্শনে যান তিনি। এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

এর আগে ২ ফেব্রুয়ারি কর্ণফুলী পাড়ে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনাপর পরিদর্শনে এসেছিলেন ভূমিমন্ত্রী। এ সময় তিনি কোনো প্রভাবশালী মহল অভিযানে বিচ্যুতি ঘটাতে পারবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন।

জেলা প্রশাসকের উদ্যোগে উচ্ছেদ কার্যক্রমের প্রথম ধাপের কাজ শুরু হয় সোমবার (৪ ফেব্রুয়ারি)। শেষ হয় শুক্রবার। অভিযানের প্রথমদিন দুপুর সোয়া ১২টায় পরিদর্শনে এসে ক্রমাগত হমুকির বিষয়ে সাংবাদিকদের জানান জেলা প্রশাসক।

সম্পদের ক্ষতি ও অভিযানের করণীয় বিষয়ে সাইফুজ্জমান চৌধুরী জাবেদ বলেন, ‘আমি চাই না, দুম-দাম ভেঙে দিয়ে চলে গেলাম, প্রচুর সম্পদ নষ্ট হোক। আমাদের অনকেগুলো বিষয় বিবেচনা করতে হবে। এখানে লবণ স্টোরেজ রয়েছে। তাদের প্রয়োজনে ছয় মাস সময় দেব। তবে অবৈধ কোনো স্থাপনা থাকতে পারবে না। সব চলে যাবে।’

দখলমুক্ত স্থানের পরিকল্পনা তুলে ধরে ভূমিমন্ত্রী বলেন, ‘পাঁচটি খাল মুক্ত করেছি। আমাদের পরিকল্পনার রয়েছে একটু সময় নিয়ে দৃষ্টিনন্দন কিছু কাজ করব। এর পাশপাশি কার্গো অ্যাকটিভিস্ট রয়েছে, মালামাল ওঠা-নামার বিষয় আছে। আমরা পল্টন জেটি টাইপের চিন্তা-ভাবনা করছি। এখানে আউটার র‌্যাংকে প্রচুর জাহাজ আসে। অনেক সময় জেটিতে গ্রিড লোক পড়ে যায়, এতে ফরেন কারেন্স চলে যাচ্ছে। বছরে মিলিয়নন্স অব ডলার চলে যাচ্ছে। ডেমারেস দিতে হচ্ছে, পার ডে একটা প্যাসেলে ১৫ থেকে ২০ হাজার দিতে হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘ফরেন কারেন্স চলে যাচ্ছে সেটা কিন্তু আমার রিজার্ভ থেকে চলে যাচ্ছে, এটা আননেসেসারি। যদি সেইভ করতে পারি, এটা হিউজ হবে। এটাও আমার মাথায় আছে, ধরে রাখতে হবে। এ ক্ষেত্রে লিজ করে, সিস্টেম করে অথবা পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ করে পর্যায়ক্রমে এগুলো করা হবে। যাতে মাল ওঠা-নামা করে চলে যেতে পারে। ফলে একুট ধৈয্য ধরতে হবে।’

অভিযানের পরবর্তী কার্যক্রম চার-পারদিন পর যথারীতি শুরু করা হবে বলেও জানান তিনি।

পরিদর্শনে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াছ হোসেন ছাড়াও প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর