বাংলাদেশে পোলট্রি মুরগি থেকে ‘এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা’ (বার্ড ফ্লু) ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে বলে সংসদকে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন।
বৃহস্পতিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) একাদশ জাতীয় সংসদ অধিবেশনের প্রথম অধিবেশনে চট্টগ্রাম-১১ আসনের সংসদ সদস্য এম. আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জনান।
পরিবেশ মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে মূলত পোলট্রি মুরগি থেকে ‘এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা’ ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে। বুনো, দেশি ও পরিযায়ী পাখি থেকে এ জীবানু ছড়ানোর আশঙ্কা কম। গত কয়েক বছর ধরে দেশি কাক ও পাখির মাধ্যমে এ জীবানু ছড়ানোর তথ্য আছে। সরকার রাজশাহী এলাকায় এ ব্যাপারে কাজ করছে।
শাহাব উদ্দিন বলেন, পরিযায়ী হাঁস থেকে ‘এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা’ জীবানু ছড়ানো তথ্য খুবই কম, বাংলাদেশে নেই বললেই চলে। তারপরও, বন অধিদফতর ও আইইউসিএন -এর মাধ্যমে ‘এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা’র গবেষণা করছে সরকার। টাঙ্গুয়ার হাওড়, হাকালুকি হাওড়, বাইক্যা বিল, সোনাদিয়া ও নিঝুম দ্বীপে পরিযায়ী পাখি থেকে নমুনা সংগ্রহ করে প্রতি বছর গবেষণাগারে পরীক্ষা করা হচ্ছে। পরিযায়ী পাখি ও গৃহপালিত হাঁসের বিচরণস্থল চিহ্নিত করে তাদের মেলামেশা বন্ধে খামারিদের সচেতন করা হচ্ছে। প্রতি বছর পরিযায়ী পাখিমেলা করে এ বিষয়ে জনসচেতনতা বাড়ানো হচ্ছে।
তিনি বলেন, স্থায়ী সমাধানের জন্য সরকারিভাবে খামারিদের নিয়ে কাজ করা হবে। দেশি হাঁস-মুরগি যেন কোনোভাবেই পরিযায়ী হাঁসের সাথে না মেশে, এ বিষয়ে সরকার আরও সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্যোগ গ্রহণ করবে। হাওড়গুলোতে জোনিং করে এ ব্যাপারে পাখিদের নিরাপদ অঞ্চল গড়ে তোলা হবে।
উল্লেখ্য, ‘এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা’র অপর নাম ‘বার্ড ফ্লু’। এটি মারাত্মক একটি ছোঁয়াচে রোগ। এই রোগ পশু বা পাখি থেকে মানুষে এবং মানুষ থেকে পশু বা পাখিতে সংক্রমিত হতে পারে।