মাদ্রাসা শিক্ষকের কাণ্ড, নগ্ন ছবি তুলে ৯ বছরের কিশোরী ধর্ষণ

ঢাকা, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-09-01 06:41:05

৯ বছরের এক ছাত্রীকে জোরপূর্বক নগ্ন ছবি তোলে। পরে ওই ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে মাদ্রাসার শিক্ষক আব্দুল্লাহ আল মামুন (৪২)।

বৃহস্পতিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) কারওয়ান বাজার র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আশুলিয়ার ইমাম ও মাদ্রাসার শিক্ষকের দ্বারা ছাত্রী ধর্ষণ ঘটনার বিষয়ে এমন তথ্য দেন র‌্যাব-১-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল সারোয়ার বিন কাশেম।

সারোয়ার বিন কাশেম জানান, ভিকটিম আশুলিয়া দোসাইদস্ত তালিমুল কোরআন মহিলা মাদ্রাসার দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রী। পাশাপাশি স্থানীয় বাইতুল মামুন জামে মসজিদের ইমাম আব্দুল্লাহ আল মামুনের নিকট পড়ে।

ঘটনার দিন ২৭ জানুয়ারি মক্তবে পড়া শেষ হলে, শিক্ষক আব্দুল্লাহ আল মামুন ভিকটিমকে তার বেডরুমে ডেকে এনে ঘর ঝাড়ু দিতে বলে। ততক্ষণে মক্তবের অন্য ছাত্র-ছাত্রীরা চলে যায়। আব্দুল্লাহ আল মামুন সুযোগ বুঝে জোরপূর্বক ভিকটিমের নগ্ন ছবি তুলে। এরপর তার নগ্ন ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। সে দৃশ্য আবার মোবাইলে ধারণ করে।

র‌্যাব জানায়, আব্দুল্লাহ আল মামুন ভিকটিমকে হুমকি দিয়ে বলে এ বিষয়ে যেন কাউকে কিছু না জানায়। তাহলে তাকে হত্যা করে লাশ গুম করে ফেলবে।

ঘটনার পর ভিকটিম অসুস্থ হয়ে পড়লে, সে তার বাবা-মাকে বিষয়টি জানায়। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়।

র‌্যাব জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আব্দুল্লাহ আল মামুন জানিয়েছে, ঘটনার বেশ কিছুদিন আগে মাদ্রাসার ছুটি থাকায় তার স্ত্রী গ্রামের বাড়ি চলে যায়। তার স্ত্রীর অনুপস্থিতে আব্দুল্লাহ আল মামুন ভিকটিমের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ে। পরে কৌশলে তাকে ঘরে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হয়ে গেলে, সে পালিয়ে যায়।

আব্দুল্লাহ আল মামুন বিগত ১৮ বছর ধরে আশুলিয়ায় বাইতুল মাহমুদ জামে মসজিদৈ ইমামতি করে আসছে। সে শাহেপ্রতাব হাফিজিয়া মাদ্রাসা, নরসিংদী হতে হেফজ শেষ করে কিতাব বিভাগে ভর্তি হয়। পরবর্তীতে ওই মাদ্রাসায় কিতাব বিভাগে পড়াশোনা শেষ করার পূর্বেই ২০০১ সালে আশুলিয়ায় বাইতুল মাহমুদ জামে মসজিদের ইমাম হিসেবে নিযুক্ত হন।

ইমামতির পাশাপাশি ২০০৬ সালে মসজিদ কমিটির অনুমতি সাপেক্ষে দোসাইনদন্ত তালিমুল কুরআন মহিলা মাদ্রাসার শিক্ষাকতা শুরু করেন।

অন্যদিকে একই দিনে, গাজীপুরের শরীফপুর এলাকায় ৫ বছরের শিশু তাহিকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়। এ মামলার প্রধান আসামি ১৬ বছরের কিশোর রিফাতকে গ্রেফতার করে র‌্যাব।

র‌্যাব জানায়, পর্নোগ্রাফি থেকে আসক্ত কিশোর রিফাত তার আত্মীয় তাহিকে (৫) কাশবনে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে জোরপূর্বক তাকে শারীরিক নির্যাতন করে।

এক পর্যায়ে তাহি চিৎকার করলে ইটের টুকরো দিয়ে তার মাথায় বার বার আঘাত করে তাকে হত্যা করে কিশোর রিফাত।

এ সম্পর্কিত আরও খবর