যুক্তরাজ্য সরকারের সঙ্গে চলমান কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ.কে. আব্দুল মোমেন।
তিনি বলেছেন, ‘পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার সকল প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। যুক্তরাজ্য সরকারের সাথে চলমান কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে এনে আদালতের রায় কার্যকর করার বিষয়ে আমরা আশাবাদী।’
বুধবার (৬ ফেব্রুয়ারি) একাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনে সাতক্ষীরা-২ আসনের সংসদ সদস্য ওয়ারেসাত হোসেন বেলালের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। মন্ত্রীর অনুপস্থিতিতে তার পক্ষে সংসদে প্রশ্নের জবাব দেন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।
তিনি বলেন, ‘একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা সংক্রান্ত মামলা ও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় তারেক রহমান আদালত কর্তৃক দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। আদালত একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা সংক্রান্ত মামলায় যাবজ্জীবন ও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১০ বছরের কারাদণ্ড প্রদান করেছে।’
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘তারেক রহমানকে যুক্তরাজ্য থেকে ফিরিয়ে আনার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দীর্ঘদিন যাবৎ কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সরকার তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড অ্যালার্ট জারির লক্ষ্যে সংস্থাটির মহাসচিব বরাবর অনুরোধ জানায়।’
‘এর প্রেক্ষিতে ২০১৫ সালের ১৩ এপ্রিল ইন্টারপোল তারেক রহমানের নামে রেড নোটিশ জারি করেছিল। এছাড়া তাকে ফিরিয়ে এনে আইনের হাতে সোপর্দ করার লক্ষ্যে যুক্তরাজ্য সরকারের কাছে 'ফুল অর্ডার এক্সট্রাডিশন রিকুয়েষ্ট এবং অন্যান্য অন্যান্য আনুষাঙ্গিক কাগজ পাঠানো হয়েছে।’
সুনামগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে শাহরিয়ার আলম জানান, মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রতি দীর্ঘদিন ধরে বিরাজমান রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বৈষম্য ও মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও স্থানীয় রাখাইন সম্প্রদায় কর্তৃক পরিচালিত নির্যাতনের প্রেক্ষিতে বিভিন্ন সময় বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা দেশ ত্যাগ করে বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণ করেছে। বর্তমানে প্রায় ১১ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা বাংলাদেশের অবস্থান করছে।