তামাকবিহীন জীবন রুখবে ওরাল ক্যান্সার

ঢাকা, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, ঢাকা, বার্তা ২৪.কম | 2023-08-29 06:39:30

তামাকজাত দ্রব্য, ভেজাল খাবারসহ নানা কারণে বাড়ছে মুখের ক্যান্সারসহ অন্যান্য ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীর পরিমাণ। তাই ওরাল ক্যান্সার সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়িয়ে, নিয়ন্ত্রিত জীবনধারণের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে পুরোপুরিভাবে মুখের ক্যান্সার প্রতিরোধ করা সম্ভব।

সোমবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ ওরাল ক্যান্সার সোসাইটির উদ্যোগে বিশ্ব ক্যান্সার দিবস-২০১৯ উপলক্ষে আয়োজিত ওরাল ক্যান্সারঃ প্রেক্ষিত বাংলাদেশ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এ মন্তব্য করেন।

আলোচনা সভায় সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্কয়ার হাসপাতালের ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মতিউর রহমান মোল্লা, বাংলাদেশ ওরাল ক্যান্সার সোসাইটির সম্পাদক ডা. সাখাওয়াৎ হোসেন সায়ন্ত, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যালিয়েটিভ কেয়ার বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. নিজামউদ্দিন আহমেদ, ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এহতেশামুল হক, অধ্যাপক  ড. ইকবাল শহিদ, অধ্যাপক  ড. রুহুল আমিন, অধ্যাপক ড. সৈয়দ আকরাম হোসেন সহ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগন।

বক্তার বলেন, বাংলাদেশে ফুসফুসের ক্যান্সারের পরেই বেশি সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হন ওরাল ক্যান্সারে। আর তার অধিকাংশই আক্রান্ত হন তামাকজাত দ্রব্য গ্রহণের কারণে, আমরা দেখতে পাচ্ছি, আমাদের দেশে এখন অনিয়ন্ত্রিত ভাবে তামাক চাষ হচ্ছে। টেক্স বাড়িয়েও তা রোধ করা যাচ্ছে না, আর আমরাও সচেতন হচ্ছি না। ফলে ক্যান্সারের ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে।

বাংলাদেশ ওরাল ক্যান্সার সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মতিউর রহমান মোল্লা বলেন, আমরা ওরাল ক্যান্সারের নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। কিন্তু ক্যান্সার প্রতিরোধে সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে। এখানে সাংবাদিকসহ সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে, জনগণ তাদের লেখনির মাধ্যমেই মানুষ সচেতন হবে। তাছাড়া আমি দেখতে পাই ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীরা জটিল স্টেজে এসে আমাদের কাছে আসেন, তখন আমরা রিস্ক নিয়ে তাদের চিকিৎসা করি। কিন্তু যদি তারা প্রাথমিক স্টেজে আমাদের কাছে আসেন তাহলে খুব কম খরচেই ক্যান্সারের চিকিৎসা করা যায়। আবার অনেকে ক্যান্সারের চিকিৎসা করাতে বিদেশে চলে যান। কিন্তু আমি বলতে চাই আমাদের দেশে ক্যান্সার রোগের চিকিৎসা পুরোপুরিভাবে সম্ভব।

তিনি আরও বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে বাংলাদেশে যে কয়টি কারণে মানুষ বেশি মৃত্যুবরণ করে সেখানে ক্যান্সারের অবস্থান ১১ তম। সুতরাং বিষয়টি নিয়ে এখনো ভাবার সময় আছে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর