রাঙামাটি মেডিকেল কলেজে নিয়োগপ্রাপ্ত এক চিকিৎসক প্রায় ৭ মাস ধরে নিজ কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। সম্প্রতি দুদকের এক অভিযানে চিকিৎসক অনুপস্থিতির ঘটনা প্রকাশ পায়।
অর্থো-সার্জারি বিভাগের একজন সহকারী অধ্যাপক ছয় মাসের বেশি সময় ধরে কর্মস্থলে যোগদান করছেন না। দুদকের হটলাইন ১০৬-এ এমন অভিযোগ আসে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুদক মহাপরিচালক (প্রশাসন) মুহাম্মাদ মুনীর চৌধুরীর নির্দেশে পরিচালক শফিকুর রহমান ভূঁইয়ার নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি টিম স্বাস্থ্য অধিদপ্তর মহাখালীতে অভিযান চালায়।
অভিযানে যেয়ে দুদক টিম দেখেম চিকিৎসক মো. আব্দুল কাদের (কোড নং- ৪২২৬৮) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, মহাখালীতে ওএসডি থাকা অবস্থায় নড়াইল সদর হাসপাতালে সংযুক্ত ছিলেন। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ ২০১৮ সালের ১৯ জুলাই তাকে রাঙামাটি মেডিকেল কলেজে বদলি করে।
সে অনুযায়ী নড়াইল সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে ২৯ জুলাই (২০১৮) ছাড়পত্র দিয়ে যথাসময়ে বদলিকৃত কর্মস্থলে যোগদানের নির্দেশ দেয়। কিন্তু চিকিৎসক মো. আব্দুল কাদের অদ্যাবধি সেখানে যোগদান না করে সরকারি বেতন-ভাতা ভোগ করে যাচ্ছেন।
অভিযানে যেয়ে দুদক টিম জানতে পারে, বদলির আদেশ বাতিলের জন্য চিকিৎসক মো. আব্দুল কাদের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে একটি আবেদন করেছিলেন। কিন্তু ওই আবেদন গৃহীত হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত না হয়েই তিনি ৬ মাসেরও বেশি সময় কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন।
দুদক টিমের উপস্থিতিতে সোমবার (৪ ফেব্রুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাঃ নাসিমা সুলতানা তাৎক্ষণিকভাবে চিকিৎসক মো. আব্দুল কাদেরের কাছে ব্যাখ্যা তলব করেন।
এ প্রসঙ্গে দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিটের প্রধান মহাপরিচালক (প্রশাসন) মুহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী বলেন, ‘এ ধরনের নৈরাজ্য শুধু চাকরির শৃঙ্খলা পরিপন্থী নয়, অবধারিতভাবে এটা দুর্নীতি। কারণ সরকারি পদে বহাল থেকে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকা এবং জনগণকে সেবা না দিয়ে বেতন-ভাতা তোলা সম্পূর্ণ বেআইনি। এ ব্যাপারে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হয়েছে।’