কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, জনগণের সত্যিকার ভোটে আওয়ামী লীগ কখনো জয়ী হতে পারবে না।
শনিবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর রাজধানীর মতিঝিলে দলের এক বর্ধিত সভা শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
কাদের সিদ্দিকী বলেন, 'ভবিষ্যতে এমন কোনোদিন আর আসবে না, যে জনগণের সত্যিকার ভোটে আওয়ামী লীগ কখনো জয়ী হতে পারবে। এ রকম দিন আর আওয়ামী লীগ কখনই খুঁজে পাবে না। হতে পারে ডাকাতি, জোর জুলুম করে তারা নির্বাচন করতে পারে। কিন্তু মানুষের ভোটে কোনোদিন নির্বাচন করতে পারবে না। আমি সরকারকে বলবো অনতিবিলম্বে এই নির্বাচন বাতিল করে নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের অধীনে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন করে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনা।'
তিনি বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অধীনে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ আর কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। দলীয় সরকারের অধীনেও কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না।
মুক্তিযুদ্ধের এই অন্যতম সংগঠক বলেন, 'আমরা নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে প্রার্থীদের মামলা করার পক্ষে না। কারণ নির্বাচন কমিশন, বিচার বিভাগ তাদের (সরকারের) আজ্ঞাবহ হিসেবে পরিচয় দিয়েছে। তাই ট্রাইবুন্যালে হয়তো তারা বসেই আছে মামলা যথাযথ ভাবে উপস্থাপন হয় নাই, এই বলে খারিজ করে দিবে। এজন্য মামলা করার পক্ষপাতি নই আমরা।
সুলতান মোহাম্মাদ মনসুরের সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেওয়া নিয়ে তিনি বলেন, তাকে নিয়ে খুব আলোচনা হচ্ছে। এখানে তার শপথ নেওয়ার কোনো প্রশ্নই আসে না। তিনি ভাবতে পারেন যে শপথ নিতে পারেন। কিন্তু জনগণ ভাবতে পারেন না তারা নির্বাচিত এবং শপথ নিতে পারেন। জনগণ ৩০ ডিসেম্বর ভোট দিতে পারে নাই, ওইদিন কোনো ভোট হয় নাই। সেজন্য সেই নির্বাচনে কোনো প্রার্থী নির্বাচিত হয় নাই। তাই তাদের শপথ নেওয়ার কোনো কথা আসে না। আজকে যারা শপথ নিতে চাচ্ছেন পাবলিক তাদের রাস্তায় ধরে টুকরো টুকরো করে ফেলতেও পারে। জনগণের বিপক্ষে গেলে।'
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সমালোচনা করে তিনি বলেন, আমরা বুঝি না যে বিএনপির সদস্যরা সংসদে যাবেন কি যাবেন না তা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের মাথা ব্যথা কেনো। আমরা বুঝি না অবৈধ প্রধানমন্ত্রীর কেনো মাথা ব্যথা হবে বিএনপি যদি সংসদে না যায়। এ কথা তাকে কেনো বলতে হবে।