ট্রাফিক ব্যবস্থার উন্নয়নে কাজ করবে কোরিয়া: অর্থমন্ত্রী

ঢাকা, জাতীয়

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-30 16:34:43

বাংলাদেশের ট্রাফিক ব্যবস্থার উন্নয়নে দক্ষিণ কোরিয়া কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

তিনি বলেছেন, ‘ট্রাফিক ব্যবস্থা উন্নয়নের পাশাপাশি দেশটি রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানেও কাজ করতে আগ্রহ দেখিয়েছে।’

সোমবার (২১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে অর্থমন্ত্রীর কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন কোরিয়া ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (কোইকা) একটি প্রতিনিধি দল। সংস্থাটির প্রেসিডেন্ট এইচ ই লি মিকউনের নেতৃত্বে নয় সদস্যের এক প্রতিনিধি দল অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকের পর আলোচনার বিষয়বস্তু নিয়ে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

মুস্তফা কামাল বলেন, ‘ঢাকার ট্রাফিক ব্যবস্থা ভাল লাগেনি কোইকার প্রেসিডেন্টের। তিনি জানিয়ছেন, তাদের দেশেও একসময় এ ধরনের ট্রাফিক ব্যবস্থা ছিল। যা তারা সমাধান করেছে। ফলে বাংলাদেশেরটাও কমানো যাবে (ম্যানেজেবল)।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি তাদের বলেছি, কোরিয়ায় যারা ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট নিয়ে কাজ করে তারা যেন বাংলাদেশে এসে ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট নিয়ে কাজ করে।’

বৈঠক শেষে কোরিয়া ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজন্সির (কোইকা) প্রেসিডেন্ট লি মি-কিউং বলেন, ‘বাংলাদেশে বিনিয়োগের পরিবেশ ভাল। আমি দেশে ফিরে ব্যবসায়ীদের কাছে বাংলাদেশের বর্তমান চিত্র তুলে ধরব, যাতে বিনিয়োগকারীরা এদেশে আসেন। তারা যেন ঢাকার যানজট ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন ও অন্যান্য খাতে বিনিয়োগ করেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘এক সময় তাদের দেশেরও এই অবস্থা ছিল। এটা সমাধানযোগ্য। তাই আমরা দেশে ফিরে কোরিয়ায় যারা এ সমস্যা নিয়ে কাজ করেন তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করব এবং বাংলাদেশ সরকারকে সহায়তা করবো।’

অর্থমন্ত্রী জানান, কোইকা ১৯৯৩ সাল থেকে বাংলাদেশের ২৪টি প্রকল্পে ৫৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ দিয়েছে। এখন চলমান ২৪টি প্রকল্পে ৫৫ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দিয়েছে। এ পর্যন্ত কোইকা বাংলাদেশকে মোট ১১২ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দিয়েছে। কোরিয়া ক্যাপাসিটি বিল্ডিং, স্বাস্থ্য, পরিবেশ, আইসিটি, মানবসম্পদ উন্নয়ন ইত্যাদি খাতে সহায়তা দিয়ে আসছে। এছাড়াও ঢাকায় আন্ডারগ্রাউন্ড সাবওয়ে তৈরি হচ্ছে, যা যানজট কমবে।

তিনি আরও জানান, তাছাড়া ঢাকা শহরকে সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। ঢাকা-চট্টগ্রামের যাতায়াতের সময় কমাতে দ্রুতগতির ট্রেন চালু করা হবে। ফলে এক ঘণ্টা ৫ মিনিটে যাতায়াত করা যাবে। এছাড়া গ্রামগুলোকে শহরে রূপান্তর করা হচ্ছে, যাতে গ্রামের মানুষকে আর শহরে আসতে না হয়। সমুদ্র সৈকতকে দুই ভাগে ভাগ করা হবে। এক দিক আন্তর্জাতিক পর্যটক ও অন্যদিক দেশীয় পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর