মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ট্রেনিং নিয়ে ফেরার পথে গুলিসহ ২ রোহিঙ্গাে আটক

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার | 2024-04-28 00:25:50

মায়ানমার সেনাবাহিনীর ১৭ রাউন্ড জিথ্রি রাইফেলের বুলেটসহ ২ রোহিঙ্গা যুবককে আটক করেছে হাইওয়ে পুলিশ।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল ১১টায় কক্সবাজার -টেকনাফ আঞ্চলিক মহাসড়কের নয়াপাড়া এলাকায় তাদের আটক করা হয়।

মায়ানমার থেকে এই বুলেট কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিয়ে যাচ্ছিলো বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে আটক হওয়া দুই যুবক। সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়নের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. খাইরুল আলম।

আটককৃতরা মায়ানমারের কক্সবাজারের কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প ব্লক-ই-৩১৪ এর মো. ইসলামের ছেলে কেফায়েত উল্লাহ (১৯) ও নোয়াখালীর ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ক্লাষ্টার-৬৫, রুম নং- জে-১২৩ এর আব্দুস সালামের ছেলে আনোয়ার মোস্তফা (১৮)।

অতিরিক্ত ডিআইজি মো. খাইরুল আলম জানান, টেকনাফ-কক্সবাজারমুখী পায়রা সার্ভিসের একটি যাত্রীবাহী বাস থামিয়ে তল্লাশি করছিল হোয়াইক্যং থানা পুলিশ। এক পর্যায়ে যাত্রীর আসনে থাকা দুজন যুবককে সন্দেহজনক মনে হলে তাদের দেহ তল্লাশি করে পুলিশ। এ সময় কেফায়েত উল্লাহর কোমরে বাঁধা কালো রংয়ের ব্যাগ থেকে গুলি গুলো জব্দ করা হয়। পরে অবৈধ বুলেট রাখায় ওই রোহিঙ্গা যাত্রী ও তার সহযাত্রী আনোয়ার মোস্তফাকে আটক করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, মায়ানমার থেকে এই বুলেট কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের উদ্দেশ্যে বহন করছিল। আসামিরা আরো জানায়, এ বছরের ১৯ এপ্রিল তারা দালালের মাধ্যমে মায়ানমারের মংডু জেলায় মায়ানমার সেনাবাহিনীর বুচিডং ক্যাম্পে যায়। সেখানে মায়ানমার সেনাবাহিনী তাদেরকে জি-থ্রি রাইফেল চালানোর প্রশিক্ষণ দেয়। সেনাবাহিনীর পক্ষে বিদ্রোহীদের সাথে যুদ্ধ করার উদ্দেশ্যে এই প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। মায়ানমার সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে ৭ দিন থাকার পর অতিরিক্ত গরম ও খাদ্য কষ্টে সেখান থেকে আজ মায়ানমার সীমান্ত পার হয়ে পুনরায় বাংলাদেশে পালিয়ে আসে।

এ বিষয়ে কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানায় অস্ত্র আইনে একটি নিয়মিত মামলা প্রক্রিয়াধীন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর