সাতক্ষীরার শ্যামনগরে প্রেমিকার ওপরে অভিমান করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন প্রদীপ কুমার নামে এক তরুণ।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) ভোর ৫টায় নিজ ঘরের আঁড়ার সঙ্গে গলায় দড়ির ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি।
প্রদীপ কুমার মুন্সীগঞ্জ জেলেখালী এলাকার বাসিন্দা এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সিডিও ইয়ুথ টিম মুন্সীগঞ্জ শাখার সভাপতি।
আত্মহত্যার আগে ফেসবুকে স্ট্যাটাসে প্রদীপ কুমার লেখেন-
‘বিদায় পাখি 😭তুমি যে এই ভাবে আমার সাথে বেঈমানি করবে আমি কখনো বুঝিনি 😭আর কখনোই তোমাকে বিরক্ত করব না 😭😭কিন্তু একটা কথা বলব পাখি আমাকে যে ভাবে ঠকালে এইভাবে অন্য কোনো মায়ের কোল খালি করো না প্লিজ 🙏🙏আর কখনোই তোমার জন্য পাগলামি করবে কেউ😭ভালো থেকো পাখি 😭আবার যে নতুন মানুষটার সাথে কথা বলছো তাকে যেনো কাঁদিও না 😭যেট আজ আমি নিজে চোখে দেখলাম কথা বলতে😭 আর তোমার দেওয়া জামা প্যান্ট জুতা সব সাথে নিয়ে মরলাম পাখি 😭আমি আমার কথা রেখেছি পাখি গত ২ বছর আগে বলেছিলাম না পাখি তুমি যেদিন আমাকে ভুলে যাবে সেই দিন ই আমার মরণ হবে রেখেছি পাখি আমার কথা আমি তোমার মত বেইমান না😭 আর আমার মৃত্যুর জন্য একমাত্র তুমি এবং তোমার পরিবার দায়ী’।
মৃত্যুর পর প্রদীপের ফেসবুক পোস্ট কিছুক্ষণের মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়াতে ঝড় তোলে। তার মৃত্যুর পর অনেকেই তার পোস্টে শোক প্রকাশ করে সমবেদনা জানান। এর মধ্যে জান্নাতুল নাঈম নামে একজন মন্তব্য করে বলেন, প্রদীপ এভাবে নিভে গেলে? তুমি পরপারে ভাল থেকো, সেই কামনা করি।
প্রসাদ কুমার নামে একজন মন্তব্য করেন, উপকূলবাসী আমরা একজন সমাজবান্ধবকে হারালাম। প্রদীপ এটা তো কোনো সমাধান না। এভাবে একটা মেয়ের কারণে জীবন প্রদীপটাই নিভিয়ে দিলে। ভালো থেকো পরপারে।
ইয়াসমিন রূপা নামে একজন মন্তব্য করেন, এইভাবে মরে যাওয়াটা সমাধান ছিল না।
আত্মহত্যার আগে ফেসবুক পোস্টে প্রেমিকার সঙ্গে ভিডিওকলের কিছু মুহূর্ত ও ছবি শেয়ার করেন প্রদীপ। তার অকাল মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
প্রদীপের আত্মহত্যার বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য নিপা চক্রবর্তী বলেন, বংশীপুরের একটা মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল প্রদীপের। তার ওপরে অভিমান করে সে আত্মহত্যা করেছে।
শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, জেলেখালীতে প্রদীপ নামে এক তরুণের আত্মহত্যার খবর শুনেছি। পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।