বরিশালের বাকেরগঞ্জে প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করা মামলায় এক আসামিকে পৃথক ধারায় ৮ বছরের কারাদণ্ড প্রদান করেছে আদালত। এছাড়া তাকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ৯ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
বুধবার (১৬ জানুয়ারি) বরিশালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক মোঃ আবু শামীম আজাদ আসামির অনুপস্থিতিতে এ রায় প্রদান করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত হলেন, বাকেরগঞ্জ উপজেলা আন্ধারমানিক এলাকার মোঃ তেহের আলী শরীফের ছেলে মোঃ মনির শরীফ।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, বাকেরগঞ্জের কাজলাকাঠী এলাকার বিদেশ প্রবাসী মোঃ ফারুক খানের স্ত্রীকে বিভিন্ন সময় একই উপজেলার মনির শরীফ তাকে কু-প্রস্তাব দিত। এতে তিনি রাজি না হলে ২০১৫ সালের ৬ মে রাত সাড়ে ১০টার সময় মনির শরীফ ওই গৃহবধূর ঘরে প্রবেশ করে।
পরে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এ সময় গৃহবধূ ধারালো অস্ত্র দিয়ে মনিরের পুরুষাঙ্গ কর্তন করে দেয়। পরবর্তীতে মনির ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় ওই বছরের ২৩ জুন প্রবাসীর স্ত্রী বাদী হয়ে মনিরসহ তিনজনকে আসামি করে আদালতে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করে। আদালতে ওই দিনই মামলাটি জুডিশিয়াল তদন্তের আদেশ দেন।
২০১৫ সালের ৫ আগস্ট বরিশালের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের তৎকালীন বিচারক তরুণ বাছাড় আসামি মনির শরীফের বিরুদ্ধে আদালতের তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
আদালতের বিচারক ৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামির বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাকে এক ধারায় ৫ বছরের কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেন এবং অন্য একটি ধারায় ৩ বছরের কারাদণ্ড, ৫ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ৩ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।