স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে ভুয়া টেন্ডারের মাধ্যমে শত কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চার কর্মকর্তাকে তলব করলে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) এসেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (বাজেট) ডা. আনিসুর রহমান। তবে
সোমবার ( ৯ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় হাজির হবার পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. সামসুল আলম।
এর আগে গত ৯ জানুয়ারি স্বাক্ষরিত চিঠি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর সংশ্লিষ্ট চারজন কর্মকর্তাকে তলব করে নোটিশ পাঠায় করে সামসুল আলম।
ওই চার কর্মকর্তা হলেন- পরিচালক ডা. কাজী জাহাঙ্গীর হোসেন, অধ্যাপক ডা. আবদুর রশীদ, সহকারী পরিচালক (বাজেট) ডা. আনিসুর রহমান ও হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা আফজাল হোসেন।
দুদকের উপ-পরিচালক মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সামসুল আলম বলেন, ‘স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ডা. আনিসুর রহমানকে দুদকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। শারীরিক অসুস্থতার কারণে টেলিফোনে দু'দিন সময় চেয়েছেন পরিচালক ডা কাজী জাহাঙ্গীর হোসেন। আর ১৫ দিনের সময় চেয়ে আবেদন করেছেন লাইন ডিরেক্টর ডা আব্দুর রশিদ।’
তিনি আরও বলেন, ‘এর আগে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া হিসাব কর্মকর্তা আফজাল হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে, যার কারণে সে আসেনি।’
দুদকের কাছে জমা দেওয়া সম্পদের বিবরণীতে জানা যায়, আফজাল ও তার স্ত্রীর ১২ কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে। আফজালের মাসিক বেতন মাত্র ২৪ হাজার টাকা হলেও তিনি মিলিয়ন ডলার ব্যয় করে অস্ট্রেলিয়ার সিডনীতে বিলাসবহুল একটি বাড়ি কিনেছেন। তার স্ত্রীর রাজধানী ঢাকায় বেশ কয়েকটি ভবনের মালিক।
দুদকের অভিযোগে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে সিন্ডিকেট করে সীমাহীন দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে। এছাড়া বিদেশে অর্থ পাচার ও জ্ঞাত আয় বহির্ভূত অর্জনের অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।