আদিবাসী পল্লীতে শিশু ধর্ষণ ঘটনার অভিযোগের তিনদিন পার না হতেই রংপুরে আরও এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফাঁকা বাসায় ডেকে নিয়ে সাত বছরের শিশুকে ধর্ষণ করেছে কলেজ পড়ুয়া এক ছাত্র। এমন অভিযোগ করেছেন এক দিনমজুর বাবা।
শনিবার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে রংপুর মহানগরীর মাহিগঞ্জ এলাকায় এ ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানা গেছে।
মুমূর্ষু অবস্থায় শিশুটিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এঘটনায় মাহিগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে শিশুর পরিবার। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত দুখু মিয়া (১৮) পলাতক রয়েছেন।
শিশুটির দাদা মকবুল হোসেন অভিযোগ করে জানান, শনিবার দুপুরে প্রতিবেশি আব্দুস সামাদের কলেজ পড়ুয়া ছেলে দুখু মিয়া তাদের ফাঁকা বাসায় ডেকে নিয়ে তার নাতনীকে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। সন্ধ্যায় রক্তাক্ত অবস্থায় ওই শিশুকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে হাসপাতালের ১২নং ওয়ার্ডের চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এদিকে শিশুটির বাবা শাহিন মিয়া বলেন, ‘ঘটনাটি জানার পর পরই মেয়েকে হাসপাতালে নিয়ে যাবার পথে মাহিগঞ্জ থানায় গিয়ে অভিযোগ করেছি। পুলিশের পরামর্শেই হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছি।’
দুখু মিয়া তার মা-বাবার অনুপস্থিতির সুযোগে এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে জানান তিনি।
এ ব্যাপারে মাহিগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আখতারুজ্জামান প্রধান বলেন, ‘মাহিগঞ্জ নব্দীগঞ্জ ফতা এলাকার দিনমজুর শাহিন মিয়া ধর্ষণ চেষ্টার একটি মৌখিক অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।’
গত ৯ জানুয়ারি রংপুরের পীরগঞ্জের চৈত্রকোল ইউনিয়নের খালিশা গ্রামের আদিবাসী পল্লীতে ছয় বছরের একটি শিশু ধর্ষণের শিকার হয়। এ ঘটনায় ধর্ষক রুবেল তির্কীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে গ্রামবাসী। পীরগঞ্জের ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও রংপুরে শিশু ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে।