শীতে খেজুরের গুড় বিক্রির ধুম

জেলা, জাতীয়

সোহেল মিয়া, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, রাজবাড়ী, বার্তা২৪.কম | 2023-08-21 19:33:09

শীতের পিঠা-পায়েস তৈরিতে খেজুরের রসের তৈরি গুড় ও পাটালির কোনো বিকল্প নেই। অপূর্ব সাদৃশ্য রয়েছে শীতের সঙ্গে খেজুরের গুড়ের তৈরি পিঠা-পায়েসের। তাইতো শীতের তীব্রতা যত প্রকট হচ্ছে রাজবাড়ীর পাংশা, বালিয়াকান্দি, কালুখালী, গোয়ালন্দ ও সদর উপজেলার ভোজন রসিক মানুষের মাঝে ততই চাহিদা বাড়ছে খেজুরের রসের পাটালি ও নরম গুড়ের তৈরি বিভিন্ন প্রকার পিঠার প্রতি।

শীতের সুস্বাদু পিঠা তৈরিতে খেজুরের গুড়ের কোনো বিকল্প না থাকায় তা বিক্রির ধুম পড়েছে স্থানীয় বাজারগুলোতে।

এদিকে ক্রেতাদের মাঝে খেজুরের গুড়ের ব্যাপক চাহিদা এবং বাজারে বেশি দাম থাকার কারণে এ অঞ্চলের বিভিন্ন পেশার মানুষ বেশি অর্থ আয় করার লক্ষ্যে শীত মৌসুমে খেজুর গাছ কেটে জীবন নির্বাহও করছে। খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহের কাজে পরিবার-পরিজন নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছে তারা।

তবে বাড়তি আয়ের আশায় এবং বাজারে চিনির দাম তুলনামূলক ভাবে কম থাকায় একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ীরা খেজুরের রসের মধ্যে চিনি মিশিয়ে পাটালি ও নরম গুড় তৈরি করে প্রতারণা করছে ক্রেতাদের সঙ্গে।

গুড় ব্যবসায়ী তোবা বার্তা২৪.কমকে জানান, বর্তমানে শীত একটু বেশি পড়ার কারণে কম বেশি সবাই পিঠা-পায়েস তৈরিতে ব্যস্ত। আর এ কারণে বাজারে এখন খেজুরের গুড়ের বেশ চাহিদা রয়েছে। ব্যাপক চাহিদা থাকার কারণে প্রচুর পরিমাণ গুড় বিক্রি হচ্ছে। প্রতিদিন তার প্রায় ১ মণ করে নরম গুড় ও পাটালি বিক্রি হচ্ছে।

তিনি আরও জানান, খেজুরের রসের মধ্যে চিনি মেশানো পাটালির দাম প্রতি কেজি ১৩০-১৫০ টাকা। আর অরজিনাল খেজুরের পাটালির দাম প্রতি কেজি ২০০-২২০ টাকা পর্যন্ত। যার মধ্যে কোনো ধরনের চিনি মেশানো নেই। তবে এখন পর্যন্ত বাজারে চিনিমুক্ত খেজুরের গুড়ের চাহিদাটাই অনেক বেশি।

বালিয়াকান্দি বাজারে খেজুরের গুড় বিক্রি করতে আসা গাছি রহমত উল্লাহ বার্তা২৪.কমকে জানান, প্রতি বছরের মতো এবারো খেজুরের গুড়ের বেশ চাহিদা রয়েছে। তিনি প্রতিদিন প্রায় ৭-৮ কেজি পাটালি বিক্রি করেন। আর এতে তার আয় হয় প্রায় ১ হাজার থেকে ১২শ টাকার মতো। প্রতিদিন তিনি, তার স্ত্রী এবং দুই ছেলে এ কাজে ব্যস্ত থাকেন। ফাল্গুন মাসের শেষ পর্যন্ত খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহ করে গুড় বানাবেন তিনি।

খেজুরের গুড় কিনতে আসা বালিয়াকান্দি উপজেলার সদর ইউনিয়নের পাইককান্দি গ্রামের বাসিন্দা কামাল মিয়া বার্তা২৪.কমকে জানান, শীত মৌসুমে পিঠা খাওয়ার ধুম পড়ে। আর পিঠা তৈরি করতে হলে খেজুরের রসের তৈরি গুড়ের কোনো জুড়ি নেই। তাই খেজুরের গুড় কিনতে এসেছেন তিনি।

এ সম্পর্কিত আরও খবর