ন্যূনতম মজুরি বাড়ানোর দাবিতে বিমানবন্দরের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক রোববার (৬ জানুয়ারি) সকাল থেকে অবরোধ করে রাখেন পোশাক কারখানার শ্রমিকরা। কোনো আলোচনা ছাড়াই বিমানবন্দর সড়ক অবরোধ করা কতোটা যৌক্তিক- তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন খোদ শ্রমিক পক্ষই।
সম্মিলিত গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন এর সভাপতি নাজমা আক্তার বার্তা২৪কে বলেন, ‘প্রতিদিন হাজার হাজার প্রবাসী শ্রমিক কাজের উদ্দেশ্যে দেশের বাইরে যাচ্ছেন। তারা কিন্তু এসব গার্মেন্টস শ্রমিকদেরই ভাই-বোন। এখন বিমানবন্দর সড়ক অবরোধ থাকা মানে অসংখ্য মানুষের ফ্লাইটমিস হওয়া।’
তিনি বলেন, ‘এখনো তো বেতন দেওয়া হয়নি। দেখা যাক মালিকপক্ষ কিভাবে বেতন দেন। তারা যদি নতুন ন্যূনতম মজুরি অনুযায়ী বেতন-ভাতা না দেন সেক্ষেত্রে আমরা প্রতিবাদ করবো। কিন্তু এতো সহজেই রাজপথ অবরোধ করা ঠিক না। এতে হাজার হাজার মানুষের অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে যায়।’
অন্যদিকে টেক্সটাইল গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক তপন সাহা বলেন, গার্মেন্টস শ্রমিকরা যে দাবি করছেন তা যৌক্তিক। কিন্তু দাবি আদায়ে তারা যে পথ বেছে নিচ্ছেন তা যৌক্তিক হতে পারে না।’
‘বেতন কাঠামোতে বৈষম্য করা হয়েছে এটা ঠিক। কিন্তু তারা এভাবে হঠাৎ বিমানবন্দরের মতো গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা অবরোধ করেছে এটা ঠিক হয়নি। অসংখ্য মানুষকে নাজেহাল হতে হচ্ছে। আমরা চাই আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতা হোক।’
২০১৮ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ হয় আট হাজার টাকা। এই বেতনের মূল মজুরি নির্ধারণ হয় চার হাজার ১০০ টাকা।
এসব বিষয়ের সামধান আলোচনার মাধ্যমে হওয়া উচিত নয়তো এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে পুরো পোশাক শিল্পে বলে মনে করছেন বিজিএমইএ’র (বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতি) স্বাধীনতা পরিষদের আহ্বায়ক মো: জাহাঙ্গীর আলম।
তিনি বার্তা২৪কে বলেন, ‘ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ হয়েছে শ্রমিক পক্ষকে সাথে নিয়েই। তখন তারা তা মেনেও নিয়েছেন। এখন অনেকেই শ্রমিকদের ভুল বোঝাচ্ছেন। আট হাজার টাকা ন্যূনতম মজুরি শ্রমিকদের জন্য যৌক্তিক। আমাদের শিল্পের অবস্থাও বুঝতে হবে।’