রাজশাহীর দুর্গাপুরে আতিকুর রহমান আতিক (২২) নামের এক যুকককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকেলে ওই যুবকের মরদেহ বিলের মধ্যে একটি পুকুরের পানিতে ভেসে থাকতে দেখে স্থানীয় লোকজন থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে ওই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে। নিহত আতিক উপজেলার কুহাড় গ্রামের আবু বাক্কারের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, দুর্গাপুর উপজেলার ঝালুকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পশ্চিম দিকে বিলের মধ্যে একটি সরকারি (খাস) পুকুরের পানিতে নিহত যুবক আতিকের মরদেহ ভেসে থাকতে দেখেন ওই পুকুরের পাশে জমিতে কাজে যাওয়া কয়েকজন কৃষক। পরে গ্রামের লোকজনকে খবর দিলে ঝালুকা, ভাংগীর পাড়া ও কুহাড় গ্রামের লোকজন পানিতে ভেসে থাকা মরদেহটি দেখতে ভিড় জমায়। পরে থানা পুলিশ খবর দেয়া হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে মরদেহটি উদ্ধার করে। এরপর স্থানীয় লোকজন মরদেহটি আতিকের বলে শনাক্ত করে।
স্থানীয় কয়েকজন ব্যাক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, বুধবার দুপুরের দিকে ঝালুকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে একটি পুকুরের পাশে অবস্থান নেয় নিহত আতিক। এ সময় ওই পুকুরে গোসল করছিল কয়েকজন মহিলা। আতিকের বসে থাকা দেখে গোসলরত মহিলারা বাড়ির পুরুষ সদস্যদের খবর দিলে তারা গিয়ে আতিককে ধরে রশি দিয়ে বেঁধে পেটাতে থাকে। এক পর্যায়ে তাকে পেটাতে পেটাতে বিলের মধ্যে নিয়ে চলে যায়। পরে তারা ফিরে এসে বলে ওই যুবককে মেরে তাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। বিকেলের দিকে খবর পাওয়া যায় ওই যুবকের মরদেহ পানিতে ভেসে ওঠে। এরপর থানা পুলিশকে খবর দেয়া হয়।
দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মোতালেব জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে নিহত যুবকের মরদেহটি উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। নিহত যুবকের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত ও জখমের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে এটি হত্যা নাকি অন্য কিছু তা বলা যাচ্ছেনা। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হলে ময়না তদন্তের জন্য নিহত যুবকের মরদেহ বৃহস্পতিবার রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। ময়না তদন্ত শেষে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে বলেও জানান ওসি।