পদ্মাসেতুর সর্বশেষ ১১ পিলারে পাইলিং শুরু

ঢাকা, জাতীয়

সাব্বির আহমেদ, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-10 14:12:42

মাটির গঠনগত বৈচিত্র্য ও গভীরতার তারতম্যের কারণে জটিলতা তৈরি হওয়া পদ্মাসতেুর ১১টি পিলারের পাইলিংয়ের কাজ অবশেষে শুরু হয়েছে। এর মাধ্যমে সেতুর সব পিলারের কাজ শেষ হতে চলেছে। মাঝনদী ও মাওয়া প্রান্তে এই ১১টি পিলারে জটিলতা তৈরি হওয়ায় প্রায় বছরখানেক কাজে দেরি হয়েছে।

সেতু বিভাগ জানায়, আগামী বছরের বিজয় দিবসের আগেই এ সেতুর কাজ শেষ হবে।

সেতু প্রকল্পের প্রকৌশলীরা জানান, ১১টি পিলারের মধ্যে চারটি পিলারের চূড়ান্ত নকশা বছরের মাঝামাঝি সময়ে পাওয়া গিয়েছিলো। এর তিন মাস পর পাওয়া যায় বাকি সাতটি পিলারের নকশা। চলতি সপ্তাহ থেকে এই ১১টি পিলারে দিনরাত পাইলিং চলছে। এখন কোনো পিলার কাজের বাইরে নয়, সব পিলারে পাইলিংসহ স্প্যান বসানোর অন্য কাজ চলমান।

৪২টি পিলারের ওপর দাঁড়াবে স্বপ্নের পদ্মাসেতু। এর মধ্যে মূল নদীতে পড়েছে ৪০টি। এই ৪০টি পিলারের মধ্যে ২৬টির নকশা শুরুতইে পাওয়া গিয়েছিলো। পরে পাওয়া যায় আরও তিনটির নকশা। বাকি ছিল ১১টি।

সেতু প্রকল্পের নকশা অনুযায়ী, নদীতে ৪০টি পিলারে ২৬২টি পাইল ড্রাইভ করতে হচ্ছে। এখন পর্যন্ত পাইল ড্রাইভ শেষ হয়েছে ১৬৫টির। ১১টি পিলারে পাইল বাকি ছিলো ৯৭টি। চারটি পিলারে আরও ২৭টি পাইলের চূড়ান্ত নকশা পাওয়ার পর এখন ৭০টি পাইল ড্রাইভ বাকি থাকলো। এসব পাইলের ড্রাইভ সম্পন্ন হলে সেতুতে স্প্যান তোলা হবে। স্প্যানে গাডার বসিয়ে সড়ক নির্মাণ করলেই পূর্ণাঙ্গ হবে পদ্মাসেতু।

প্রকল্পের পরিচালক শফিকুল ইসলাম বলেন, পদ্মাসেতুর কাজে এখন আর বিন্দুমাত্র জটিলতা নেই। পাইলিং, স্প্যান বসানো এসব চলছে। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ হলে গাড়ি উঠতে পারবে সেতুতে।

এদিকে দৃশ্যমান অগ্রগতি হিসেবে দেখা যাচ্ছে, পদ্মাসেতুর জাজিরা পাড়ের ছয়টি পিলারে পাঁচটি স্প্যান বসানো হয়েছে। যা পৌনে এক কিলোমিটার নদীর ওপর।

প্রকল্পের মূল সেতুতে দায়িত্বরত প্রকৌশলীরা জানান, সেতুর ৩, ৪ ও ৫ নম্বর পিলারসহ আরও দুইটি পিলারে স্প্যান উঠানো এখনই সম্ভব। নতুন বছরের শুরুতেই মাওয়া প্রান্তে এসব স্প্যান বসানো হবে।

২০১৫ সালের ডিসেম্বরে পদ্মা বহুমুখী সেতুর কাজ শুরু হয়। ছয় দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই সেতুর কাজ চলতি বছরের ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ে শেষ হচ্ছে না। ২০১৯ সালে এটি চালু করা যাবে। ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকা ব্যয়ে চলছে সেতুর নির্মাণ কাজ।

এ সম্পর্কিত আরও খবর