মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে হামলায় ঘটনার সময় পুলিশের নীরব ভূমিকা নিয়ে সমালোচনা করেছেন ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষনেতা ড. কামাল হোসেন।
শুক্রবার (১৪ ডিসেম্বর) পল্টনে ঐক্যফ্রন্টের অস্থায়ী কার্যালয়ে আয়োজিত জরুরি সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের উদ্দেশ্যে ড. কামাল বলেন, ‘কেউই চিরস্থায়ী নয়, আমি তোমাদের একাডেমিতে বক্তৃতায় বলেছি, এখনও বলছি কেউ বেআইনি আদেশ মানবে না।’
তিনি বলেন, ‘সংবিধানে প্রথম স্বাক্ষর জাতির জনকের। তোমরা বঙ্গবন্ধুর আদেশ অমান্য করছ? জেনে রেখো কেউ চিরস্থায়ী নয়। তোমরা ৫০-৫৫ বছর চাকরি করবে, বুঝে নিও, সংবিধান ভঙ্গ করার কাজ করো না। কার আদেশে এমন কাজ করছো তা আমাকে জানাও।’
পুলিশের আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, 'আইজিপি সাহেব আপনাকে আমি লিখিতভাবে চিঠি পাঠাব। আপনার পুলিশদের বিষয়ে যা শুনছি, তাতে আমি উদ্বিগ্ন। আপনার বিষয়ে আমার ভালো ধারণা ছিল। আমি আপনাকে আজকের ঘটনার তথ্য দেব। ধারণা করছি যে, তথ্য দেব আপনি আপনার বিশ্বস্ত লোক দিয়ে সেগুলো তদন্ত করবেন। কথা দিচ্ছি সব ধরনের সাহায্য করব।'
সকালে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়ে ফেরার পথে ড. কামালের গাড়িবহরে হামলার অভিযোগ উঠে।
এই হামলায় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম শরিক জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রবসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে বলে গণমাধ্যমে উঠে এসেছে।
হামলার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের এমপি আসলামুল হকের গুণ্ডা বাহিনী ও কমিশনার টিপুর নেতৃত্বে গাড়িবহরে হামলা চালানো হয়। হামলায় আ স ম আব্দুর রব, জগলুল হায়দার আফ্রিকের সহ ৭-৮টি গাড়িতে ভাঙচুর চালায়। হামলায় আব্দুর রবের গাড়ির চালকসহ ২৫-৩০ জন গুরুতর আহত হয়।’
এসময় শত শত পুলিশকে নীরব ভূমিকা পালন করতে দেখা যায় বলেও জানান তিনি।
ড. কামাল বলেন, ‘বুদ্ধিজীবী দিবসে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে আমাদের ওপর যে হামলা হয়েছে সেটি শহীদদের জন্য অবমাননাকর। এটি মেনে নেয়া যায় না।’
প্রতীক বরাদ্দের পর ধানের শীষের প্রার্থী নেতাকর্মীদের পুলিশের সহায়তা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা হামলা করছে, যা অবাধ ও সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে অন্তরায় বলেও জানান তিনি।