সৌদি আরবে গৃহকর্মীর কাজে গিয়ে নির্যাতনের শিকার ১২ নারী কর্মী দেশে ফিরেছেন। ভুক্তভোগী এক নারীর স্বামীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) তৎপর হলে নিয়োগ সংশ্লিষ্ট ট্রাভেল এজেন্সিই তাদের দেশে ফিরিয়ে আনে।
এই ১২ জন শনিবার বিকেলে ইন্ডিগো এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। রাতে গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিমানবন্দর এপিবিএনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক।
তিনি জানান, গত মে মাসে একজন নারীর স্বামী অভিযোগ করেন যে—তার স্ত্রী ৬ মাস আগে এম এইচ ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল নামে একটি রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে গৃহকর্মীর কাজ করতে সৌদি আরব গিয়েছেন। কিন্তু সেখানে যাওয়ার পর থেকে তিনি তার স্ত্রীর সঙ্গে কোনোভাবেই যোগাযোগ করতে পারছিলেন না। লোকমুখে তিনি জানতে পারেন—তার স্ত্রী শারীরিক এবং মানসিকভাবে নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। তিনি তার স্ত্রীকে দেশে ফিরিয়ে আনতে এপিবিএনের সহযোগিতা চান। একই সঙ্গে যে ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে সৌদিতে গিয়েছেন সেই এজেন্সির বিরুদ্ধেও অভিযোগ জানান। এরপর বিমানবন্দর এপিবিএনের গোয়েন্দা দল বিষয়টি নিয়ে কাজ শুরু করে।
জিয়াউল হক আরও জানান, এরপর ট্রাভেল এজেন্সির সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় এবং অভিযোগের বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়। ভুক্তভোগী নারী কোথায় কী অবস্থায় আছেন, সে বিষয়েও তথ্য জানতে চাওয়া হয়। এপিবিএনের তৎপরতা আঁচ করে অভিযুক্ত রিক্রুটিং এজেন্সির অফিস বন্ধ করে গা ঢাকা দেন কর্মচারীরা। তবে ভুক্তভোগী নারীদের দেশে ফিরিয়ে আনলে আইনি জটিলতা থেকে মুক্তি পাবে, এমন চিন্তা থেকে ওই ট্রাভেল এজেন্সি সৌদি থেকে নির্যাতনের শিকার হওয়া ১২ নারীকে আজ বিকেলে দেশে ফিরিয়ে আনে।
এপিবিএনের এ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, দেশে ফিরে আসা নারীদের কাছ থেকে এপিবিএনের তদন্ত দল বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানান, তারা প্রত্যেকেই বিভিন্নভাবে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। ভুক্তভোগীদের অভিযোগের ভিত্তিতে ট্রাভেল এজেন্সিসহ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।