গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেতে কাজ করতে হবে: তৌফিক-ই-ইলাহী 

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-09-01 00:08:50

প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা বীর বিক্রম ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেতে দেশের বিশিষ্টজন ও সাংস্কৃতিক কর্মীদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে।

শনিবার (২৫ মার্চ) রাজধানীর বনানীর ঢাকা গ্যালারিতে ‘গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও মানবাধিকার প্রশ্ন’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। বৈঠকের সঞ্চালনা করেন এডিটরস গিল্ডের সভাপতি মোজাম্মেল বাবু।

তিনি বলেন, ‘হলকাস্টের (দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নাৎসি জার্মান বাহিনী দ্বারা ইহুদি নিধন) ওপর কত সিনেমা হয়েছে, অস্কারও পেয়েছে। এগুলো দিয়েই তো তারা হলকাস্ট প্রতিষ্ঠা করেছে। তাই আমাদেরও ধৈর্য ধরে শিল্পের মাধ্যমে, সংস্কৃতির মাধ্যমে, আমাদের ইতিহাসের মাধ্যমে, লেখাপড়ার মাধ্যমে এটাকে ওপরে আনতে হবে। যখন পারবো তখন একটি শক্তিশালী দেশও এটা শুনবে।’

তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে পাকিস্তানের সত্ত্বার একটি বিপর্যয় ঘটে। তারা আমাদের কিছুই মনে করতো না, সেখানে আমাদের কাছে তারা হেরেছে। আমাদের কাছে তাদের লাখের বেশি সৈন্য আত্মসমর্পণ করে। তাই বাস্তবতা জানতে হবে। তারা বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াবে। কোনও উদ্যোগ নিলে তারা সেটা অবমূল্যায়ন করবে। সুতরাং আমরা সবাই মিলে যখন কাজ করবো তখন একটা কমন পরিকল্পনা নিতেই হবে। সেটা আমরা সবাই ফলো করবো। একটা প্ল্যাটফর্ম থাকতে হবে। তা না করে বিভিন্নভাবে কাজ করলে হবে না।’

তিনি বলেন, ‘আজ ইউক্রেন যুদ্ধে বিচার হয়ে এক বছরের মাথায় ইন্ডাইটমেন্ট হচ্ছে। আর আমরা বলছি আমাদের হাজার হাজার লাখ লাখ লোক মারা গেছে। ছবি আছে, ডকুমেন্টেশন আছে। কেউ কিছু ভাবছে না। সুতরাং আমাদের অবস্থান নিতে হবে। এই অবস্থান নেওয়ার জন্য কিছু পরিকল্পনা করতে হবে। আমাদের রাষ্ট্রদূত হোক, রাজনীতিবিদ হোক, সমাজসেবক হোক এখন আপনাদের কথা শুনবে।’

গণহত্যার স্বীকৃতি আদায় মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাসকে তরুণ প্রজন্মের মাঝে বিকশিত করবে জানিয়ে তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, ‘ইতিহাস বিকৃতি হওয়ার আগে ওই সময়ের ঘটনা নিয়ে অনেকে কাজ করেছেন। কিন্তু এ নিয়ে কীভাবে সামনে অগ্রসর হওয়া যায় তা চিন্তা করা দরকার। আমাদের নতুন প্রজন্মের কাছে আমি অনেক সময় বলি, স্মৃতি আমাদের নাড়া দেয়; কিন্তু ইতিহাস নাড়া দেয় না। নতুন প্রজন্মের মধ্যে আমাদের এই তথ্যগুলো জীবিত রাখতে হবে। সেটা কারিকুলাম বা অন্যান্য সামাজিক কার্যক্রমের মাধ্যমে হতে পারে। তা না হলে এই ঘটনা শক্তি হারাবে।’

আলোচনায় আরও অংশ নেন ইতিহাসবিদ ও গবেষক অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট কাজী ফিরোজ রশীদ, সাবেক সেনা কর্মকর্তা গোলাম হেলাল মোর্শেদ খান, মানবাধিকারকর্মী রোকেয়া কবীর, সিনিয়র সাংবাদিক আবেদ খান, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর এবং প্রজন্ম একাত্তরের সভাপতি আসিফ মুনীর।

এ সম্পর্কিত আরও খবর