মিথী পেল মেডিকেলে চান্স, কেক কেটে ভূরিভোজ গ্রামবাসীর

, জাতীয়

উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) | 2023-09-01 00:42:02

রাজশাহী মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়ে প্রশংসায় ভাসছেন মেধাবী শিক্ষার্থী ফারযানা আফরিন মিথী। মেয়ের এমন সাফল্যে আনন্দিত হয়ে গ্রামবাসীর জন্য ভূরিভোজের আয়োজন করেছেন মিথীর বাবা এম এম মালেক।

মেয়ের শিক্ষাজীবন সুন্দরভাবে সম্পন্ন করার জন্য সবার কাছে দোআ চেয়েছেন মা তাসলিমা আক্তার লাভলী। অন্যদিকে মিথীর মেডিকেল ভর্তির সুখবর উৎসবমুখর পরিবেশে কেক কেটে উদযাপন করেছেন গ্রামবাসী।

মিথীর বাড়ি ময়মনসিংহের গৌরীপুরের সিধলা ইউনিয়নের বালিয়াপাড়া গ্রামে। দুই বোনের মধ্যে মিথী সবার বড়। ছোট বোন সাদিয়া আফরিন অবন্তি ময়মনসিংহের প্রগ্রেসিভ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে।

মিথী ২০২০ সালে ময়মনসিংহের বিদ্যাময়ী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। এরপর ২০২২ সালে ময়মনসিংহের মুমিনুন্নিসা সরকারি মহিলা কলেজ থেকে জিপিএ ৫ পেয়ে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।

চলতি বছর মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পান মিথী। মিথীর মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পাওয়ায় মঙ্গলবার তার গ্রামের বাড়ি বালিয়াপাড়ায় সহ¯্রাধিক লোকজনকে ভূরিভোজ করানো হয়। আয়োজন করা হয় দোআ মাহফিলের। ওই অনুষ্ঠানে এলাকাবাসী ও স্বজনরা ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত করেন মিথীকে।

মিথীর বাবা এমএ মালেক বলেন, আমার মেয়ে রাজশাহী মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পাওয়ায় আমি খুব আনন্দিত। সেই আনন্দ পরিবার, আত্মীয়-স্বজন ও গ্রামের মানুষের সাথে ভাগাভাগি করতে আনন্দ ভোজের আয়োজন করেছি। মেয়ে ডাক্তারি পাস করে গ্রামের মানুষকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দিবে সেই দিনটির আশায় আছি।

ফারযানা আফরিন মিথী বলেন, ছোটবেলা থেকেই আমার স্বপ্ন ছিল ডাক্তার হওয়ার। সেজন্য সবসময় মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করেছি। আমার বাবা-মা আমাকে সবসবময় উৎসাহ দিয়েছেন। ডাক্তারি পাস করে মানবিক ডাক্তার হতে চাই।

সিধলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন বলেন, এবছর আমাদের ইউনিয়ন থেকে মিথীই একমাত্র মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। সে ভালো ভাবে পড়াশোনা করে ডাক্তারি পাস করে মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করকে গ্রামের মানুষকে চিকিৎসা সেবা দিবে এটাই প্রত্যাশা।

এ সম্পর্কিত আরও খবর