২০২৪ সালের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন: প্রধানমন্ত্রী

, জাতীয়

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার | 2023-08-30 21:46:51

দেশবাসীকে নৌকায় ভোট দেওয়ার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৪ সালের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হবে।

বুধবার (৭ ডিসেম্বর) কক্সবাজার শেখ কামাল স্টেডিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় তিনি এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, আপনারা ২০১৮ সালে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়েছেন, আমরা আপনাদের এই কক্সবাজারের উন্নয়ন করেছি, পর পর তিনবার ক্ষমতায় আসতে পেরেছি, ধারাবাহিকভাবে সেই ২০০৯ সাল থেকে এই ২০২২ পর্যন্ত দেশে গণতান্ত্রিক পদ্ধতি বলবৎ আছে বলেই আজকে উন্নয়ন হচ্ছে এবং বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে।

তিনি বলেন, ২০২৩ এর পরে ২০২৪ এর জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন হবে। আমি আজ সেই নির্বাচনে আপনাদের কাছে নৌকা মার্কায় ভোট চাই।‘আপনারা কি নৌকা মার্কায় ভোট দেবেন’, প্রধানমন্ত্রী জানতে চাইলে জনগণ চিৎকার করে দুই হাত তুলে তাতে সম্মতি দেয়।

তিনি জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে কবির সঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়ে বলেন, ‘রিক্ত আমি নিঃস্ব আমি দেবার কিছু নেই/ আছে শুধু ভালবাসা দিয়ে গেলাম তাই।’

কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) অ্যাডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ সহ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।

শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সমাবেশের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী ১৯৬৩.৮৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ২৯টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন এবং চারটি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

তাঁর সরকার ও দল জাতির পিতার আদর্শ নিয়েই কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার লক্ষ্য অনুসরণ করে দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানো আমার একমাত্র কাজ। কাজেই আমি বাবা-মা, ভাইসহ স্বজনদের হারিয়ে আপনাদের মাঝেই ফিরে পেতে চাই আমার হারানো বাবার স্নেহ, মায়ের স্নেহ, ভাইয়ের স্নেহ, বোনের স্নেহ। আমি আপনাদেরকেই আমার আপনজন বলে মনে করি। এই বাংলাদেশের মানুষের কল্যাণ করাই আমার একমাত্র কাজ।

বিশাল জনসভায় দূরদূরান্ত থেকে আগত যাদের তিনি চোখের দেখা দেখতে পাচ্ছেন না তাদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা যত দূরেই থাকেন আপনারা আমার হৃদয়ে, অন্তরে স্থান করে নিয়ে আছেন। প্রত্যেকটি গ্রামের মানুষ শহরের সুযোগ-সুবিধা পাবে, প্রতিটি গ্রামকে শহর হিসেবে গড়ে তুলে প্রতিটি মানুষকে উন্নত জীবন দেয়াটাই আমার লক্ষ্য। আর সেভাবেই তাঁর সরকার রাস্তা-ঘাট, পুল, ব্রিজ, সড়ক পথ, রেলপথ, নৌপথের উন্নয়ন করে বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের ব্যবস্থা করে দিচ্ছি।

গ্রামে গ্রামে ব্রডব্যান্ড পৌঁছে দিয়ে এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে ডিজিটাল সেন্টার করে দিয়ে ইন্টারনেট সেবাকে জনগণের নাগালের মধ্যে নিয়ে আসা, বেসরকারকারি খাতকে উন্মুক্ত করার মাধ্যমে সকলের হাতে মোবাইল ফোন পৌঁছে দেয়া, ১০ টাকায় কৃষকদের ব্যাংক একাউন্ট খোলার সুযোগ, দুই কোটি লোককে কৃষি উপকরণ কার্ড প্রদান, ২ কোটি ৫৩ লাখ ছাত্র-ছাত্রীকে বৃত্তি-উপবৃত্তি প্রদান, মাধ্যমিক পর্যায় পর্যন্ত বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক প্রদান এবং জাতির পিতার শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট ফান্ড থেকে উচ্চ শিক্ষায় সহায়তা প্রদানের মত তাঁর সরকারের বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক ও দরিদ্রবান্ধব কর্মসূচির উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, আজকে আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি কিন্তু এই বাংলাদেশকে আমরা ২০৪১ সাল নাগাদ উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই যে বাংলাদেশের স্বপ্ন জাতির পিতা দেখেছিলেন।

তিনি সমাবেশ আগতদের নিজ নিজ এলাকায় ভূমিহীন-গৃহহীন মানুষ রয়েছে কি না তা খুঁজে দেখার আহবান জানান এবং নাম ঠিকানা দিলে সরকার তাদের পুনর্বাসন করবে, প্রত্যেকের জীবন মান উন্নত করবে বলেও তিনি জানান।

এ সম্পর্কিত আরও খবর