নৌকাডুবি: পঞ্চম দিনেও সন্ধান মেলেনি নিখোঁজ ৩ জনের

, জাতীয়

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, পঞ্চগড় | 2023-09-01 01:18:36

পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার মাড়েয়া বামনহাট ইউনিয়নের করতোয়া নদীর আউলিয়ার ঘাটে নৌকাডুবির ঘটনায় পঞ্চম দিনে এসেও তিনজন নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের খোঁজে উদ্ধার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা।

নিখোঁজ তিন জনের মধ্যে এক শিশুসহ ২ পুরুষ রয়েছেন। নিখোঁজরা হলেন- দেবীগঞ্জ উপজেলার শালডাঙ্গা ইউনিয়নের ছত্রশিকারপুর হাতিডুবা গ্রামের মদন চন্দ্রের ছেলে ভুপেন ওরফে পানিয়া (৪০), বোদা উপজেলার সাকোয়া ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের খগেন্দ্রনাথের ছেলে সুরেন (৬৫) ও পঞ্চগড় সদর উপজেলার ঘাটিয়ারপাড়া গ্রামের ধীরেন্দ্রনাথের মেয়ে জয়া রানী (৪)।

বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা অভিযান চালায়। সকাল থেকে স্থানীয়রাও তাদের সহযোগিতা করেন।

চতুর্থ দিনে বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) একজনের মরদেহ উদ্ধার হলেও বৃহস্পতিবার দিনভর কোন মরদেহের সন্ধান পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দীপঙ্কর রায়।

তিনি জানান, এখন পর্যন্ত উদ্ধার হয়েছে ৬৯ জনের মরদেহ। উদ্ধারকৃতদের মধ্যে বোদা উপজেলায় ৪৬ জন, দেবীগঞ্জ উপজেলায় ১৭ জন, আটোয়ারী উপজেলায় ২ জন, পঞ্চগড় সদর উপজেলায় ১ জন এবং ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় ৩ জন। মৃতদের মধ্যে পুরুষ ১৮ জন, নারী ৩০ জন ও শিশু ২১ রয়েছে।

গত রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) শারদীয় দুর্গোৎসবের মহালয়া উপলক্ষে দুপুরে আউলিয়া ঘাট থেকে একটি শ্যালো ইঞ্জিনচালিত নৌকায় বড়শশী ইউনিয়নের বদেশ্বরী মন্দিরের দিকে যাচ্ছিলেন তারা। ঘাট থেকে নৌকাটি কিছু দূর যাওয়ার পরই ডুবে যায়।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বোদা উপজেলার মাড়েয়া ইউনিয়নের করতোয়া নদীর অপরপাড়ে বদেশ্বরী মন্দিরে মহালয়া পুজা উপলক্ষে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও ধর্মসভার আয়োজন করা হয়। রোববার দুপুরের দিকে মূলত ওই ধর্মসভায় যোগ দিতে সনাতন ধর্মালম্বীরা নৌকা যোগে নদী পার হচ্ছিলেন। তবে ৫০ থেকে ৬০ জনের ধারণ ক্ষমতার নৌকাটিতে শতাধিক যাত্রী ছিল। অতিরিক্ত যাত্রীর কারণে নদীর মাঝপথে নৌকাটি ডুবে যায়। অনেকে সাঁতার জানায় তীরে আসতে পারলেও সাঁতার না জানা বিশেষ করে নারী ও শিশুরা পানিতে ডুবে যায়। মনে করা হচ্ছে স্রোতের কারণে অনেক মরদেহ পানিতে ভেসে যেতে পারে।

পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দীপঙ্কর রায়, নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে মরদেহ সৎকারের জন্য ২০ হাজার টাকা দেওয়া হচ্ছে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর