বাগেরহাটে বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা পেলেন ৩ সহস্রাধিক রোগী

, জাতীয়

উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, মোংলা (বাগেরহাট) | 2023-08-30 12:18:32

বাগেরহাটের রামপালে দক্ষিণাঞ্চলের সর্ববৃহৎ ফ্রি চক্ষু চিকিৎসা কেন্দ্রে সেবা দেয়া হয়েছে প্রায় তিন সহস্রাধিক নারী-পুরুষকে। ঢাকা মেগা সিটি লায়ন্স ক্লাবের উদ্যোগে ও লায়ন ডক্টর শেখ ফরিদুল ইসলামের সহযোগিতায় রামপালে সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এ চক্ষু সেবা কার্যক্রম চলে।

রামপাল উপজেলার বাঁশতলী ইউনিয়নের বড়দিয়া গ্রামের বড়দিয়া হাজী আরিফ (রঃ) মাদ্রাসা মাঠে সোমবার দিনভর প্রায় ৩ সহস্রাধিক চক্ষু রোগী বিনামূল্যে এ চিকিৎসা সেবা নিয়েছেন। তারমধ্য থেকে প্রায় ৫ শতাধিক চোখে ছানি পড়া ও নেত্রনালী রোগীদের অপারেশনের জন্য বাছাই করা হয়েছে। এসব বাছাইকৃত রোগীদের ঢাকা মেগা সিটি লায়ন্স চক্ষু হাসপাতালে নিয়ে অপারেশন ও লেন্স সংযোজন করা হবে। আর ৩ সহস্রাধিক রোগীকে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা প্রদান, বিনামূল্যে ওষুধ ও বয়স্ক রোগীদের চশমা প্রদান করা হয়েছে। আর এ সকল রোগীদের সেবা দেন ঢাকা ও খুলনার ৬ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক।


২০০৯ সাল থেকে শুরু করে সোমবার ছাড়া এর আগ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৪ হাজার চোখে ছানি পড়া ও নেত্রনালীসহ নানান সমস্যার রোগীদেরকে ঢাকায় নিয়ে অপারেশনসহ লেন্স সংযোজন করা হয়। এছাড়া এ পর্যন্ত প্রায় ৫৫ হাজার রোগীকে প্রাথমিক চিকিৎসা, চশমা, অপারেশন, লেন্স সংযোজন ও ওষুধ প্রদাণ করা হয়েছে।

ঢাকা মেগা সিটি লায়ন্স ক্লাবের সভাপতি লায়ন ডক্টর শেখ ফরিদুল ইসলাম সোমবার সকালে শান্তির প্রতীক পায়তারা উড়িয়ে এ ফ্রি চক্ষু চিকিৎসা সেবার উদ্বোধন করেন বলেন, ২০০৯ সাল থেকে শুরু করে বাগেরহাট জেলার প্রায় সকল উপজেলায় পর্যায়ক্রমে এ চক্ষু চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম চালিয়ে আসা হচ্ছিল। কিন্ত বর্তমান প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক জটিলতার কারণে এবার রামপালে আমার নিজ এলাকায়ই এ প্রোগ্রাম করতে হয়েছে। এখানে বাগেরহাট জেলার সকল উপজেলাসহ চট্টগ্রাম, বরিশাল ও খুলনা থেকেও রোগীরা এসেছেন। কারণ এখানে এ সেবা সম্পূর্ণ ফ্রি। কোন কিছুর বিনিময়ে একটি টাকাও রোগীদের কাছ থেকে নেয়া হয়না। থাকা, খাওয়া, যাতায়াত, অপারেশন ও লেন্স স্থাপন সবকিছুই ফ্রি। এছাড়াও রোগীদের পরিপূর্ণ চিকিৎসা শেষে ভালভাবে নিজ বাড়িতে ফিরতেও টাকা দিয়ে সহায়তা দিয়ে আসছি, যাতে বাড়ি যেতে কষ্ট না হয়। আমাদের এ উদ্যোগে মানুষের ব্যাপক সাড়া দিয়েছে। তাই আমরাও মানবতার কল্যাণে আগামীতেও এ কাজ করে যাবো।


তিনি আরো বলেন, চোখের সমস্যার কারণে বিশেষ করে বয়স্করা কষ্ট পান এবং পরিবারের কাছে বোঝা হয়ে পড়েন। তাই আমাদের এ উদ্যোগ ও সহযোগিতায় তাদের চোখের আলো ফিরে পেয়ে স্বাভাবিক সুন্দর কর্মময় জীবনযাপন করতে পারছেন। আর এটা করতে পারাই আমাদের সফলতা, এখানেই আমাদের আত্মতৃপ্তি ও আনন্দ।

এ সম্পর্কিত আরও খবর