তাবলিগের নিজামুদ্দিনপন্থীরা বিরোধীদের আবারও বহিরাগত বললেন

ঢাকা, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-25 02:28:46

তাবলিগ জামাতের নিজামুদ্দিনে অনুসারীরা বিরোধীদের আবারও বহিরাগত বলে আখ্যা দিলেন। সেই সঙ্গে তাবলিগের কাজে এসব বহিরাগতদের হস্তক্ষেপে বন্ধের দাবি জানিয়েছেন তারা।

সোমবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি হলে সংবাদ সম্মেলন করে তাবলিগের নিজামুদ্দিনপন্থীরা (এতায়াতপন্থী) এসব দাবি জানান।

সেই সঙ্গে শনিবারের সংঘর্ষের ঘটনার যথাযথ বিচারও দাবি করে তারা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কাকরাইল মসজিদের মাওলানা আশরাফ আলী।

তিনি বলেন, একটি গোষ্ঠী দেশকে অস্থিতিশীলতার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। তাবলিগ জামাতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে তাদের হস্তক্ষেপ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে। অরাজনৈতিক এ দ্বীনি মেহনতকে তারা রাজনৈতিক হাতিয়ার বানিয়েছে। গত দুই মাস যাবত তারা পেশা শক্তির বলে টঙ্গি ইজতেমার ময়দান দখল করে রেখেছে। মাদরাসার নিরীহ ছাত্রদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে তাবলিগের মূল ধারার দাঈদের ময়দানে প্রবেশে বাধা দিয়েছে।

লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, জোড় অনুষ্ঠানের লক্ষে ময়দান দখলের জন্য ৩০ নভেম্বর মাঠে গেলে তারা বাধা দেয়। ইজতেমা ময়দানের প্রতিটি গেটে তালা লাগিয়ে তারা মাদরাসার ছাত্রদের দিয়ে পাহাড়া বসায়।

সেই সঙ্গে ভেতর থেকে ইট-পাথরের ঢিল নিক্ষেপ করে সংঘর্ষের সূচনা করে। তাদের এলোপাতাড়ি ইট-পাটকেলের আঘাতে অনেক সাথী আহত হয়। মাদরাসার ছাত্রদের নির্মম আঘাতে ইসমাইল মণ্ডল নামের মুন্সীগঞ্জের একসাথী নিহত হয়।

লিখিত বক্তব্যে তার দাবি, বিগত ছয় মাসে প্রায় ১ হাজারটি প্রোগ্রামে তারা সরাসরি বাঁধা দিয়েছে।

গত অক্টোবরে ঢাকা জেলার ইজতেমায় তারা দফায় দফায় বাঁধা দেয়। তার পরও শুধুমাত্র শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য সর্বক্ষেত্রে ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছি।

সংবাদ সম্মেলনে এসব ঘটনার বিচার ও তদন্ত দাবি জানিয়ে তিনি বলে, নিহত ও আহত ব্যক্তিদের ক্ষতিপূরণ ও তাদের পরিবারের দায়-দায়িত্ব নিতে হবে। টঙ্গির ইজতেমা ময়দান সরকারি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে দখলমুক্ত রাখতে হবে। দু'পক্ষের বিরোধে কোনোভাবেই মাদরাসার ছাত্রদের ব্যবহার করা যাবে না। দেশের পরিস্থিতি স্থিতিশীল ও সামাজিক সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য ওয়াজাহাতি জোড়ের নামে সারাদেশে উস্কানিমূলক সভা বন্ধ করতে হবে। তাবলিগ জামাতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বহিরাগতদের অযাচিত হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে হবে।

তাছাড়া আগামী ১১, ১২, ১৩ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য বিশ্ব ইজতেমা যথাসময়ে সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে সহায়তা করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মুনির বিন ইউসুফ, মাওলানা মাহমুদুল্লাহ, মাওলানা আবদুল্লাহসহ প্রমুখ।

এ সম্পর্কিত আরও খবর