শিক্ষার্থীদের এক দফা যেভাবে দুই দফা হলো

, জাতীয়

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-08-28 22:43:40

এক দফা দাবি ছিল জ্বালানি তেলের দাম কমিয়ে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা। স্মারকলিপি দিতে এসে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) চেয়ারম্যানের অসৌজন্যমূলক আচরণে তা হয়ে গেলো দুই দফা।

এখন তেলের দাম কমানোর পাশাপাশি বিপিসি চেয়ারম্যানের অপসারণ চেয়েছে শিক্ষার্থীরা। আগামী শনিবারের (১৩ আগস্ট) মধ্যে দাবি আদায় না হলে ১৪ আগস্ট থেকে বিপিসির সামনে লাগাতর অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করেছে আন্দোলনকারীরা।

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে অংশ নেওয়া ইনজামুল হক বলেন, আমরা গত পাঁচদিন ধরে আন্দোলন করে যাচ্ছি। আমাদের সঙ্গে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশ নিয়েছেন। আজকের (১০ আগস্ট) কর্মসূচি ছিল বিপিসি চেয়ারম্যানকে স্মারকলিপি প্রদান। আমরা বিকেল ৫টায় স্মারকলিপি দিতে গেলে প্রথমে চেয়ারম্যান দেখাই করতে রাজি হচ্ছিলেন না। ঘণ্টা খানেক পরে দেখা করেন তখন স্মারকলিপি দিতে গেলে তিনি খুবই অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছেন। স্মারকলিপিটি হাত থেকে এক প্রকার ছিনিয়ে নিলেন। প্রথম শ্রেণির একজন অফিসারের কাছে আমরা এমন আচরণ আশা করিনি। অফিসের সিসি ক্যামেরায় নিশ্চয়ই তার ওইসব আচরণ ধারণকৃত রয়েছে। আমরা অনতিবিলম্বে তদন্তপূর্বক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থার দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় রোববার থেকে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে। তারা যদি ব্যবস্থা না নেন পরিস্থিতি অবনতি হলে তার দায় বিপিসি ও সরকারকেই বহন করতে হবে।

শিক্ষার্থীরা ওই সময়ে বিপিসি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে নানা রকম স্লোগান দিতে দিতে চলে যান। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, তিতুমীর, ঢাকা কলেজসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী প্লাকার্ডসহ বিক্ষোভে অংশ নেন।

ভ্যাট বিরোধী আন্দোলন, নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলন ও গাড়িতে হাফ ভাড়ার দাবিসহ নিকট অতীতে কয়েকটি ছাত্র আন্দোলনের কথা ভেবে অনেকেই চিন্তিত। তারা আশা করছেন ছাত্ররা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠার আগেই বিষয়টি নিরসন হওয়া উচিত। না হলে পরিস্থিতি খারাপ দিকে মোড় নিতে পারে, যা কারো জন্য কাম্য হতে পারে না।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ প্রসঙ্গে বিপিসির চেয়ারম্যান এবিএম আজাদকে প্রশ্ন করা হলে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।

এ সম্পর্কিত আরও খবর