কৃষকের বাজারে ভোক্তা ও কৃষক উভয়েই লাভবান হবেন

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-08-31 15:36:16

সাশ্রয়ী মূল্যে নিরাপদ খাদ্যের সহজপ্রাপ্যতা নগর এলাকার বাসিন্দাদের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। নগর এলাকায় কৃষকের বাজার স্থাপনের মাধ্যমে এ চ্যালেঞ্জ অনেকটাই মোকাবিলা করা সম্ভব। কৃষকের বাজার এমন একটি বাজার ব্যবস্থা যেখানে মধ্যস্বত্বভোগীদের অনুপস্থিতিতে কৃষকগণ সরাসরি তার নিরাপদ খাদ্যপণ্য ভোক্তার কাছে পৌঁছে দেন। ফলে ভোক্তাদের জন্য পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যকর খাবারের যোগান নিশ্চিতের পাশাপাশি কৃষকরাও আর্থিকভাবে লাভবান হবেন। এ বিবেচনায় জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার ঢাকা ফুড সিস্টেম প্রকল্পের আওতায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে স্থাপিত হতে যাচ্ছে ৬টি কৃষকের বাজার, যেখানে প্রতি সপ্তাহে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর এবং মৎস্য অধিদপ্তর কর্তৃক যাচাইকৃত ১০ জন কৃষক তাদের উৎপাদিত নিরাপদ পণ্য ক্রেতাদের কাছে সরাসরি বিক্রি করবেন।

মঙ্গলবার (২৮ জুন) ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের শীতলক্ষ্যা হলে এ্যাম্বেসি অব দি কিংডম অব দি নেদারল্যান্ডস, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা এবং ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট এর সম্মিলিত উদ্যোগে আয়োজিত ‘ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে এলাকাভিত্তিক কৃষকের বাজার স্থাপন’ শীর্ষক প্রকল্পের প্রারম্ভিক সভায় বক্তারা এ কথা বলেন।

সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ।

এছাড়া আরো বক্তব্য দেন, ঢাকা ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ওয়ার্ড নং ১ এর কাউন্সিলর মোঃ মাহবুবুল আলম, ওয়ার্ড নং ১৯ এর কাউন্সিলর আবুল বাশার, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ড. ফজলে শামসুল কবীর, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ মো: সিরাজুল ইসলাম, অঞ্চল-১ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব মেরীনা নাজনীন, অঞ্চল-৩ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব বাবর আলী মীর, প্যানেল মেয়র মোঃ শহীদ উল্লাহ, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ফুড সিটি কো-অর্ডিনেটর শরীফা পারভীন, ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট এর গাউস পিয়ারী, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কে জে এম আবদুল আউয়াল, সাব এসিস্টেন্ট লাইভস্টক অফিসার মো জসীমউদ্দিন, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিএম মোস্তফা কামাল।


অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট এর সিনিয়র প্রজেক্ট ম্যানেজার জিয়াউর রহমান এবং মুল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রজেক্ট ম্যানেজার নাঈমা আক্তার। 

ফরিদ আহাম্মদ বলেন, কৃষক বাছাই এর ক্ষেত্রে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরকে শক্তিশালী ভূমিকা পালন করতে হবে। নতুবা নিরাপদ খাদ্য সরবরাহ কঠিন হবে। যেহেতু উন্মুক্ত স্থানে কৃষকের বাজারটি স্থাপিত হবে, তাই স্টোরেজ ব্যবস্থা প্রদান করা সম্ভব নয়। তাই কোন পণ্য বিক্রি হবে তা নির্ধারণ করে দিতে হবে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের খাদ্য পরীক্ষাগারে স্যাম্পল পরীক্ষা করে ভোক্তাকে নিরাপদ খাদ্য সরবরাহ করা হচ্ছে কি না তা নিশ্চিত করতে হবে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষকে সম্পৃক্ত করা যেতে পারে। কৃষকদের পণ্য সংরক্ষণের আধুনিক প্রযুক্তি বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করতে হবে। প্রতিটি ওয়ার্ডে আমরা কাঁচা বাজার স্থাপন করতে যাচ্ছি। কাঁচা বাজারে কৃষকের জন্য আলাদা জায়গা দেয়া গেলে কৃষকের বাজার কার্যক্রমটি টেকসই হবে এবং খাদ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সহজ হবে। এ কার্যক্রমে দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন থেকে সহযোগিতা থাকবে।

মোঃ শহীদ উল্লাহ বলেন, বাজার কার্যক্রম পরিচালনার একটি সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন। খাদ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য সবজি-মাছ-মাংস পৃথকভাবে বিক্রি করতে হবে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের খাদ্য পরীক্ষাগারে পরীক্ষার মাধ্যমে খাদ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। কৃষকের বাজার কার্যক্রমের সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে নগরবাসীর নিরাপদ খাদ্যের চাহিদা পূরণ সম্ভব। আমি এ প্রকল্পের সাফল্য প্রত্যাশা করি এবং সিটি কর্পোরেশন থেকে সহযোগিতা থাকবে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর