গাড়াবাড়ীয়া-হিতিমপাড়া সংযোগ সেতু হবে কবে?

খুলনা, জাতীয়

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-17 19:57:14

মেহেরপুর সদর উপজেলার হিতিমপাড়া ও গাংনী উপজেলার গাড়াবাড়ীয়া গ্রামের সংযোগ স্থলে পারাপারের জন্য এখনো বাঁশের সাঁকোটিই একমাত্র ভরসা। তাইতো প্রতিদিন কর্মব্যস্ত হাজারো মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাঁকোটি পার হয়।

দীর্ঘদিন ধরে ওই স্থানে সেতু নির্মাণ করার ব্যাপারে অনেকে আশ্বস্ত করলেও এলাকাবাসীর দাবি পূরণ হয়নি আজও। তাই স্থানীয়দের মনে এখন একটাই প্রশ্ন কবে হবে গাড়াবাড়ীয়া-হিতিমপাড়া সংযোগ সেতু?

জানা গেছে, হিতিমপাড়া ও গাড়াবাড়ীয়া গ্রামের ওই সংযোগ সড়কটি রয়েছে দীর্ঘদিন থেকে। এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিনই বিভিন্ন কাজে হাজারো মানুষ চলাচল করে। গুরুত্বপূর্ণ স্থানটিতে সেতু না থাকায় স্থানীয় লোকজন প্রতি বছর বাঁশের সাঁকো তৈরি করে। গ্রামের লোকজনের আর্থিক সহায়তায় সাঁকোটি তৈরি হয়। ফলে সংস্কার প্রয়োজন হলে অর্থ জোগাড় নিয়ে টানাপোড়েন শুরু হয়।

এলাকার চাষিরা জানায়, সদর উপজেলার বালিরমাঠ, শোলমারী, ভিটিরমাঠ, শুভরাজপুর এবং গাংনী উপজেলার গাড়াবাড়ীয়া, সহগলপুর, কাথুলী, ধলাসহ আশপাশের গ্রামের পথচারীরা বিভিন্ন স্থানে যাতায়াতের জন্য ওই সংযোগ সড়ক ব্যবহার করে। সপ্তাহের প্রতি মঙ্গল ও শুক্রবার গাড়াবাড়ীয়া বাজারে হাট বসে। এখানে সবজি ও মাছসহ নিত্যপণ্যের কেনাবেচা করে এলাকার চাষিরা। আশপাশের গ্রামের লোকজনের গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজন মেটাতেই যেতে হয় ওই হাটে। কিন্তু বাঁশের সাঁকো পারাপারের ফলে জীবন হয়ে ওঠে দুর্বিষহ।

এছাড়াও গাড়াবাড়ীয়াতে রয়েছে প্রাথমিক, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজ। আশপাশের গ্রামের ছাত্রছাত্রীদেরকে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে আসতে হলে বাঁশের সাঁকো পার হয়ে।

সবজি চাষি হিতিমপাড়া গ্রামের আখের আলী বলেন, ‘গাংনী উপজেলা শহর ও গাড়াবাড়ীয়া বাজার কিংবা সদরে যেতে হলে ওই সংযোগ সড়ক দিয়ে যেতে হয়। সেতু না থাকায় আমরা যে কী পরিমাণে কষ্ট পাচ্ছি তা ভাষায় বোঝানো যাবে না।’

কাথুলী ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান রানা জানান, গুরুত্বপূর্ণ এই সংযোগ সড়কটিতে সেতু নির্মাণ করা খুবই জরুরি। অথচ দীর্ঘদিন ধরেই বিষয়টি অবহেলিত। সরকারি দপ্তরগুলোতে বারবার ধরনা দিলেও এখনো সেতু নির্মাণ হয়নি।

এলজিইডি গাংনী উপজেলা প্রকৌশলী রুহুল ইসলাম বলেন, ‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সেতুটি নির্মাণের চেষ্টা করব।’

 

এ সম্পর্কিত আরও খবর