সীতাকুণ্ডে অগ্নিকাণ্ড: ফেসবুকে প্রথম লাইভ করা নয়ন মারা গেছেন!

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-09-01 15:06:08

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কন্টেইনারে ভয়াবহ বিস্ফোরণে ফায়ার সার্ভিসের সাত কর্মকর্তাসহ ৩৮ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন প্রায় তিন শতাধিক মানুষ।

এদিকে কনটেইনার ডিপোতে আগুন লাগার পর সেখান থেকে প্রথম ফেসবুক লাইভ করেন অলিউর রহমান ওরফে নয়ন (২০) এক কিশোর। চট্টগ্রাম হাসপাতালে তার মরদেহ শনাক্ত করা হয়েছে।

রোববার (৫ জুন) সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে থাকা মিলনের মরদেহ শনাক্ত করেন তার স্বজনরা।

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, নয়ন বিএম কনটেইনার ডিপোতে শ্রমিকের কাজ করতেন। তিনি মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নের ফটিগুলী গ্ৰামের বাসিন্দা আশিক মিয়ার ছেলে।

নয়ন ডিপোতে আগুন লাগার পরপরেই লাইভে আসেন। তিনি রাত ১০টা ৭ মিনিটে ফেসবুকে লাইভ শুরু করেন। তার লাইভ যখন প্রায় ৪১ মিনিটে তখন বিস্ফোরণ হতে দেখা যায়। তারপর ওই লাইভটি অন্তত আরও ৪ মিনিট চলে। ওই ৪ মিনিট স্ক্রিন ছিল অন্ধকার। তার লাইভ চলাকালীন অনেকেই মোবাইল হাতে ওই স্থানে লাইভ করতে দেখা যায়। বিস্ফোরণের সঙ্গে আর্তনাদের শব্দ ভেসে ওঠে।

অলিউরের চাচাতো ভাই জুনাব আলী বলেন, রাতে লাইভ করার সময় অলিউরকে ঘটনাস্থল অনেকে টেনে নিতে চাইলেও সে সেখান থেকে যেতে চায়নি। এ সময় হঠাৎ বিস্ফোরণে সব অন্ধকার হয়ে যায়। এরপর থেকে নয়নের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

উল্লেখ্য, শনিবার (৪ জুন) রাত সাড়ে ৯টার দিকে সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নে বিএম কনটেইনার ডিপোর লোডিং পয়েন্টের ভেতরে এ আগুনের ঘটনা ঘটে। ডিপোটির মালিক স্মার্ট গ্রুপের এমডি ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদক মুজিবুর রহমান।

সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, ফায়ার সার্ভিসের ২৫টি ইউনিটের ১৮৩ কর্মী আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। এর মধ্যে ঘটনাস্থলে সীতাকুণ্ড, ফটিকছড়ি ও ফেনীর দেড়শো সদস্যরা উদ্ধার অভিযানে সহায়তা করছেন। এছাড়া ঘটনাস্থল থেকে দগ্ধে আহত ও মৃতদের আনা নেওয়ার কাজে চারটি অ্যাম্বুলেন্স কাজ করছে। 

এ সম্পর্কিত আরও খবর